সারা বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা থাকবে। কিন্তু কয়েকশো কোটি প্রতিষেধকের ডোজ 🏅তৈরি করেও সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন গবেষণা উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াꦡশিংটন 🐈পোস্ট জানিয়েছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৫৬০ কোটি মানুষের টিকাকরণ প্রয়োজন। তবেই গোষ্ঠীবদ্ধ প্রতিরোধ তৈরি হবে এবং ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাবে। কিন্তু সেখানেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু কেন? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা, যে দেশগুলি সবথেকে বেশি দাম দেবে, তাদের প্রতিষেধক বিক্রি করবে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। যে দেশগুলি আর্থিকভাবে মজবুত সেগুলি বেশি প্রতিষেধক কিনবে এবং যে দেশে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি অবস্থিত সেখানে বেশি প্রতিষেধক ম♔িলবে।
পিপিই মডেলে তৈরি সংস্থা গ্যাভির সিইও শেঠ বার্কলಌে বলেন, ‘দেশগুলি শুধু নিজেদের কথা ভাববে, সেই মডেলটি কাজ করবে না। যদিও বা আপনি এমন কোথাও থাকছেন, যেখানে কোনও সংক্রমণ নেই, সেখানেও সংক্রমণ আটকানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারেন, যদি না আপনি বাণিজ্য এবং বাণিজ্য বন্ধ করে দেন। এটা সারা বিশ্বের সমস্যা, যার বিশ্বজনীন প্রতিষেধক লাগবে।’
২০০৯ সালে সোয়াইন-ফ্লু'র প্রতিষেধকের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমেরিকা-সহ বিশ্বের গুটিকয়েক দেশ প্রতিষেধক বেশিরভাগ প্রতিষেধক কুক্ষিগত করেছিল। ফলে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য় খুব কম সংখ্য়ক প্রতিষেধক পড়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির হওয়ার পুরো সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞের। ইতিমধ্য়ে ওয়াশিংটনের তরফে ‘প্রথমে আমেরিকা নীতি’ গ্রহণ করা হয়েছে। আমেরিকার বায়োমেডিক্য়াল অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্য়ান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বা বিএআরডিএয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তা গ্য়ারি ডিসব্রোর কথায় সেই সুর মিলেছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুত প্রতিষেধকের প্রাপ্💫য়তা নিশ্চিত করতে আমরা বর্তমানে পুরো (পড়ুন শুধু) আমেরিকা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র প্রতিষেধক নয়, পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্য়ুপমেন্ট বা পিপিই এবং ভেন্টিলেটরের ক্ষেত্রে একইরকম ছবি দেখা গিয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির কাছে কার্যত সেগুলি নেই। তবে অন্য কোনও দেশ বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ🔯্যমে প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়, তাহলে আমেরিকা খুব একটা ভালো ෴অবস্থায় নাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি। সেক্ষেত্রে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি প্রতিষেধকের চুক্তির লড়াইয়ে নামবে। যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে
ডিউক বিশ্ববিদ্যা🐼লয়ের গোবান ইয়ামে বলেন, ‘ধনী দেশগুলি প্রতিষেধকের উপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ক🏅রেছিল, গরীব দেশগুলি পিছনে পড়ে যাচ্ছিল। আমরা যদি সারা বিশ্বে প্রতিষেধক ছড়িয়ে দিতে না পারি, তাহলে আমরা এই মহামারী শেষ করে পারব না। কারণ কোথাও একটা ভাইরাস ছড়ানো মানে সব জায়গায় ছড়িয়ে যাওয়া।’