চিন নিজের করোনা নীতিতে স্পষ্ট করেছে 'জিরো কোভিড'-এর বার্তা। এদিকে, সেই নীতি বাস্তবের মাটিতে লাগু করতে গিয়ে জিনিপিং প্রশাসন যে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হল ধাতব বক্স। এক🌊 ভাইরাল ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) -তে দেখা যাচ্ছে, চিনের এক স্টেডিয়ামের ভিতর বহু ধাতব বক্স তৈরি করে, সেই ধাতব বক্স-ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোভিড পজিটিভ রোগীদের। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা নিয়ে নেট মাধ্যমে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
চিন আগেই জানিয়েছে, কোভিড সংক্রমণ রোখা প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোনও উদাসীনতা সহ্য করতে রাজি নয় জিনপিং সরকার। এদিকে, সেই নীতি বাস্তবায়িত করতে এক স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকটি ধাতব ঘর বানিয়ে সেখানে কোভিড রোগীদের রাখা হচ্ছে চিনে। ভাইরাল ভিডিয়ো সূতꦫ্রে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, এই ধাতব বাক্সে যে কোভিড রোগীদের রাখা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোভিড সংক্রমিত গর্ভবতী মহিলাদেরও এই ধাতব বাক্সের ঘরে রাখা হচ্ছে বলে খবর। ভিডিয়োর তথ্য অনুযায়ী, চিনের শিয়াং, আনিয়াং, ইউঝোতে কোভিড আক্রান্তদের সঙ্গে 'বন্দি'দের মতো করে ব্যবহার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই সমস্ত এলাকাতে হুহু করে বেড়ে গিয়েছে কোভিডের সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, চিনে কোভিড আত💟ঙ্কের জেরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষের লম্বা লাইন রয়েছে রাস্তায়।
সরকারের কোভিড নীতি যাঁরা ভঙ্গ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। এদিকে, চিনে কোভিড নীতি লঙ্ঘনের জন্য ৩ জনকে ইতিমধ্যেই ৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে জিনপিং প্রশাসন। শি জিনপিংয়ের সরকার কোভিড দমনে যে সমস্ত নীতি নিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে আইসোলেশন সহ অল্প সংক্রমণেই গোটা শহরে লকডাউন। আর লকডাউনের আতঙ্কে মানুষ আরও বেশি করে রাস্তায় ভিড় করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন। ꦆএদিকে, যে সমস্ত জায়গায় এই ধাতব বক্সে কোভিড রোগীকে রাখা হচ্ছে, সেখানে একটি খাট, একটি জলের বোতল ও শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে এভাবে অসুস্থ মানুষকে 'বন্দি' রাখার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের কাছেই অমাবনবিকতার নামান্তর। সূত্র🍎ের খবর, জিআন শহরে ২ কোটি মানুষ আপাতত ঘরবন্দি। জিআনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩। আর সেখানে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় হতবাক অনেকেই।