ঘূর্ণি🍸ঝড় নিসর্গের প্রভাব পড়বে না তারাপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনও প্ল্যান্টেই। একইসঙ্গে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ স🧔েন্টারের (বার্ক) প্ল্যান্টেও নিসর্গের প্রভাব পড়বে না। এমনটাই দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের পালঘরের জেলাশাসক কৈলাস শিন্ডে।
আগামী বুধবার মহারাষ্ট্র উপকূলে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। উপকূলবর্তী পালঘর জেলায় সেই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্💝কা রয়েছে। পালঘরে আবার ভারতে সবচেয়ে পুরনো তারাপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। তা ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব সহ্য করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে একটি মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। তবে পালঘরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরমাণু কেন্দ্রগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের বেশি বেগে ঝড় বইলেও কোনও প্রভাব না পড়ে। একইসঙ্গে যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তাঁর দাবি, পালঘরেরই দহনুতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আদানি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজেও প্রভাব পড়বে না। বুধবার সারাদিন পরিষেবা চালু থাকবে। তবে দহনুর বাইরে যে কর্মীরা থাকেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সেদিন কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।🍎
রাজ্যের বিভিন্ন পরমাণু প্ল্যান্ট এবং রাসায়নিক কারখানা নিয়ে আশ্বাস মিলেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের থেকেও। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পাল🍌ঘর এবং রায়গড়ের রাসায়নিক কারখানা এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।’
উদ্ধবের কথামতো ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার দিন ম🔯ুম্বই শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট র⭕ুখতে প্রস্তুতির কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না বৃহন্মুুম্বই ইলেক্টি্রসিটি সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টও (বেস্ট)। তা সত্ত্বেও কোনও কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিকের জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল গঠন করা হচ্ছে। তাঁরা স্ট্র্যান্ড-বাইয়ে থাকবেন। বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস হাসপাতাল এবং কেন্দ্রের ক্ষেত্রে।
🌜এদিকে, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০ টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছে দলগুলি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কী কী ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তাও মানুষকে বোঝানো কাজ চলছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ, বিমান এবং বিভিন্ন স্টেশনগুলির তরফে মৎস্যজীবী এবং বাণিজ্যিক ভেসেলগুলিকে সতর্ক করা হচ্ছে।