আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তি নিয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে 💙চলেছে ইয়াস। ২৬ মে অর্থাৎ আজ দুপুরে ওড়িশার⭕ ভদ্রক জেলার ধামরায় ‘ল্যান্ডফল’ করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
মৌসম ভবনের সাম🦄্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, আপাতত (ভোর ৪ টে ৩০ মিনিট) ধামরার পূর্বে ৬০ কিলোমিটার, পারাদ্বীপের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ৯০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণে ১০০ 💯কিলোমিটার এবং বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ১০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ‘ইয়াস’।
ওড়♊িশা সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২.১ লক্ষ মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া চারটি উপকূলীয় জেলায় আরও ৫ লক্ষ লোককে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করেছে।
ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার প্রদীপ জেনা বলেন, ‘বালাসোর, ভদ্রক, কটক, জগৎসিংপুর জাজপুর, কেন্দ্রপাড়া, কেওনঝড়, খুরদা, ধেনকানাল, গজপতি, গঞ্জাম, ময়ূরভঞ্জ, নয়াগড়, পুরী ও আঙুল থেকে এখনও পর্যন্ত ২,১০,৬২১ জনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া বালাসোর জেলায় সর্বাধিক ২৮,১৩২ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাছাড়া ভদ্রক থেকে ৭৩,১০৩ 🍬জন ও কেন্দ্রপাড়া থেকে ৪১.৬৮৫ জনকে স্থ🐬ানান্তরিত করা হয়েছে।’
জেনা বলেন, ‘আমরা চারটি উপকূলীয় জেলা কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, ভদ্রক ও বালাসোরকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিꦚসাবে ধরেছি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করেছি। আবহাওয়া দফতরের অনুমানের পরে, ভিতরকণিকা, ধমরা ও চাঁদবালীর উপকূলের কাছে কোথাও এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৬,৯০০ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে ৭.৫০ লক্ষ লোকের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’
জেনা আরও বলেন, ‘৭১০ টি ডিজেল জেনসেট ও ৮১১ টি ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের কাজে বিদ্যুৎ বিভাগের ১০,০০০ কর্মচারী জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। আজ রাতের মধ্যে আরও ২০০০ কর্মী তাঁদের🎐 নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে। ৩০০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীরা যে কোনও জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে এনডিআরএফ♍, ওডিআরএফ, দমকল ও পুলিশের প্রায় চার হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।সেখানে এনডিআরএফের ৫২, ওডিআরএফের ৫০, দমকলের ২০ ও বন বিভাগের ৮ টি দলকে কাজে লাগানো হয়েছে।’🐻
চাঁদিপুরে ডিআরডিও ও আইটিআরের তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চ প্যাড ও আবদুল কালাম দ্বীপে একটি লঞ্চ কমপ্লেক্স রয়েছে। একইসঙ্গে দু’টি পৃথক কন্ট্রোল রুম ও ব্লক হাউস রয়েছে। যদিও দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত হবে। এই কন্ট্রোল রুম ও ব্লক হাউসটি ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাওয়ার গতি সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। আইটিআরের মুখপাত্র মিলনকুমার পাল জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের জন্🌳য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ওদিকে ডিআরডিও ঝড় মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি।