হাতে মাত্র বছর সাতেক। আর তার মধ্যেই বিদ্যুত্ উ🌺ত্পাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা DVC-র। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই উত্পাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করে ফেলবে তারা। এর জন্য তাপবিদ্যুত্ ও জলবিদ্যুতের পাশাপাশি সৌরবিদ্যুতেও জোর দেবে DVC।
ডিভিসি বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করে🐽। ২০৩০ সাল নাগাদ তা বাড়িয়ে ১৫ হাজাꦓর মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানালেন সংস্থার চেয়ারম্যান রামনরেশ সিংহ।
দুর্গাপুরে ডিটিপিএসে ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরি করতে চলেছে ডিভিসি। এর পাশাপাশি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৬৬০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট তৈরি করা হবে। বর্তমানে যদিও সেই প্রকল্পের ꦗকাজ মাঝপথে থমকে আছে। তবে কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় অনুমোদন, অন্য বিভিন্ন জটিলতা পেরিয়ে গেলেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া কোডার্মায় জমি রয়েছে। সেখানেও দ্বিতীয় ভাগের কাজ শুরু হত♐ে চলেছে। দু'টি ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরি করা হবে।
তবে সময়ের সঙ্গে বিশ্ব সবুজ শক্তির দিকে এগোচ্ছে। আর সেই বিষয়টি মাꩵথায় রেখে সৌরবিদ্যুতকেও অগ্রাধিকার 🙈দেওয়া হবে। শুধুমাত্র সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের মাধ্যমেই ২,৫০০ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন DVC কর্তারা।
তবে সৌরবিদ্যুত্ উত্পাদনে সবচেয়ে বড় বাধা হল জমি পাওয়া। এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্যই প্রায় পাঁচ একর জমি লাগে। আর রাজ্যে জমি পাওয়াটা যে কতটা দুষ্কর তা সকলেই জানেন। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্য বিকল্পও ভেবে ফেলেছে DVC । তাদ﷽ের অধীনে থাকা জলাধারেই ভাসমান সৌর প্যানেল বসানো হবে। এর মাধ্যমেই প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উতপাদন করবে তারা।
ইতিমধ্যেই অবশ্য সেই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিলাইয়া ও পাঞ্চেত জলা꧑ধারে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫৫৫ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুত্ উত্পাদন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। তার জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের রিজার্ভারের উপরেও সৌর-প্যানেল বসানো হবে। ফলে একেবারে হাইব্রিড পন্থায় সমস্ত এলাকাকেই কাজে লাগান𒅌ো যাবে। বাড়তি সৌর বিদ্যুত্ উত্পাদন করা সম্ভব হবে। জলবিদ্যুত্ উত্পাদনেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাঞ্চেত জলাধারে এক হাজার মেগাওয়াটের পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা ডিভিসি-র। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সারা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্গাপুর ব্যারেজেও জলবিদ্যুত্ প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এই বিদ্যুত্ উত💟্পাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টার পিছনে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। শুধু উত্🍌পাদন কেন্দ্রই নয়। নতুন সাবস্টেশন, লাইন তৈরি, পুরনো পরিকাঠামোর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেক🦄েও। এবার HT App বা🧸ংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup