আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে কি বিষ দেওয়া হয়েছে? পাকিস্তানের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাকে? রবিবার রাত থেকেই এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে। যত সময় যাচ্ছে, তত সেই জল্পনার মাত্রা আরও বাড়ছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের যে হাসপাতালে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে একেবারে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের যাওয়ার অনুমতি আছে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পাকিস্তানের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত দাউদ সংক⛦্রান্ত কোনও তথ্য ꦏজানায়নি ইসলামাবাদ। বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত সরকারও। তাতে অবশ্য জল্পনা থামছে না।
এমনিতে ডি গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড দাউদ কোথায় আছে, তা নিয়ে কোনওদিনই কম জল্পনা হয় না। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত পাকিস্তানের করাচিতে থাকে দাউদ। শুধু এখন ন𝔉য়, ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে থাকে বলে একাধিক 🅷রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যে হামলায় ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ১,০০০-র বেশি মানুষ।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আপাতত করাচির ক্লিফটন এলাকায় থাকে দাউদ। বছরখানেক আগে দাউদের ভাগ্নে দাবি করেছিল যে ফের বিয়ে করেছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড। আর তারপর থেকে করাচিতেই আছে। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) 🌱দাখিল করা চার্ඣজশিট অনুযায়ী, দাউদের বোন হাসিনা পারকরের ছেলে আলিশা বলেছিল যে ‘দাউদ ইব্রাহিমের দ্বিতীয় স্ত্রী আছে। যে পাকিস্তানি পাঠান। তার নাম হল মইজাবিন। দাউদের তিনটি মেয়ে আছে - মারুখ (জুনেদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, যে জুনেদ আবার জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলে), মেহরিন (বিবাহিত) এবং মাজিয়া (অবিবাহিত)। একটি ছেলেও আছে- মহিন নওয়াজ। সেও বিবাহিত।’
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসমূলক কাজের জন্য অর্থের জোগানের অভিযোগে ২০২২ সালের নভেম্বরে দাউদ-সহ চারজনের বিরুদ্ধে চꦕার্জশিট দাখিল করেছিল এনআইএ। সেইসময় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘তদন্তে উঠে এসেছে যে অভিযুক্তরা জঙ্গিগোষ্ঠী এবং সংগঠিত অপরাধ চক্র ডি ক🧸োম্পানির সদস্য ছিল। বিভিন্নরকম বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে ওই গ্যাংয়ের অপরাধমূলক কাজ আরও বাড়ানোর যড়যন্ত্র করেছিল তারা।’ যে ডি কোম্পানি একটা সময় মুম্বইকে পুরোপুরি আতঙ্কে রাখত। এখন দাপট কমলেও একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও কিছুটা প্রভাব আছে ডি কোম্পানির।