তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরচি জেলায় বিষ মদকাণ্ডে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়ে ৫৩ জন। এছাড়াও ২০০ জন অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। এই অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, অসুস্থদের মধ্যে ১৪০ জন সংকটমুক্ত থাকলেও বেশ কয়েকজন এখনও ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।&n💯bsp;
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিষমদে মৃত অন্ততᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ ৩৩, তদন্তের নির্দেশ দিল DMK সরকার
গত বুধবার তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরচি জেলায় বিষ মদ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন একের পর এক মানুষ। এরপরেই শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। কাল্লাকুরচির জেলাশাসককে বদলি করে দেওয়ার পাশাপাশি জেলඣার পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়। এছাড়াও একাধিক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে সরকার। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবি-সিআইডিকে। বিষ মদকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অসুস্থদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বাস্♋থ্যের খোঁজ খবর নেন।
এদিকে, শুক্রবারে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি গোকুলদাসের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি তদন𒁃্ত শুরু করেছে। গতকাল এই🐬 কমিটি করুণাপুরমে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে গিয়েও অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলে। কাল্লাকুরচির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা শাসক এমএম প্রশান্ত জানান, বর্তমানে ১৪০ জন অসুস্থ ব্যক্তি সংকটমুক্ত রয়েছেন। রোগীদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তাদের চিকিৎসার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তারা এখন সুস্থ রয়েছেন।
অন্যদিকে, ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। শুক্রবার তিরুচিরাপল্লী জেলা থেকে ২৫০ লিটার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি অবৈধ মদ থেকে দূরে থাকার জন্য সাধারণ মানুষকেও সচেতন ক🦹রছে তামিলনাড়ু সরকার। এই ঘটনা পরেই তামিলনাড়ুর বিধানসভায় একটি অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছিলেন, যে কাল্লাকুরচি জেলায় বিষ মদকাণ্ডে যারা বাবা মাকে হারিয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ শিক্ষা এবং হস্টেলের খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে।