মোরেটোরিয়ামে সাময়িক ভাবে মুকুব ঋণের ইন্সটলমেন্টের ওপর সুদ দিতে হবে কি না, সেটা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই সরকার ঠিক করবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত কেন্দ্রের হলফনামা সমস্ত মামলাকারীদের দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি একসঙ্গে করছে শীর্ষ আদালত। এদিন কেন্দ্রের তরফ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন যে এই বিষয় চূড়ান্ত আলোচনা চলছে ও আগামী দুই-তিন দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে যে অক্টোবরের পাঁচ তারিখে এই মামলার শুনানি ফের করা হবে। কেন্দ্রকে নিজেদের সিদ্ধান্ত হলফনামার মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে এই বৃহস্পতিবারের মধ্যে যাতে আগামী সোমবার শুনানি করা যায়। এর আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় নিয়েছে কেন্দ্র। তাদের সময় ধার্য করলেও আদালত যে এই বিষয়টি আর ঝুলিয়ে রাখতে চায় না, এদিন সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এর আগে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় সুদের ওপর সুদ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া অবধি কোনও অ্যাকাউন্টকে এনপিএ করা যাবে না। লকডাউনের জেরে ২৭ মার্চ আরবিআই সার্কুলার দেয় যে আপাতত বকেয়া ঋণের ইনস্টলমেন্ট না দিলেও চলবে। এই ছাড়ের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অগস্ট করা হয়। কিন্তু এই সময় যে টাকা দেওয়া হল না, তার ওপরেও সুদ দিতে হবে কি না, এই প্রশ্ন শীর্ষ আদালত অবধি গড়িয়েছে। কেন্দ্র কিছুদিন আগে জানিয়েছিল যে আরবিআই মনে করে যে এই ঋণের ওপর সুদ মুকুব করা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পরিপন্থী হবে। তখন সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞেস করে কেন্দ্র নিজে কি মনে করে এই নিয়ে সেটা যেন বলে। মোদী সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে সব গ্রাহকরা অসুবিধায় পড়েছেন তাদের জন্য দুই বছর মোরেটোরিয়ামের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।