এত দিন রাজধানী দিল্লি ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ব্যাপক হারে বায়ু দূষণের জন্য পঞ্জাবের কৃষকদের দায়ী করা হত। বলা হত, ফসল কাটার প⭕র, সেই ফসলের শুকনো অবশেষ বা খড় পোড়ানোর জন্যই দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলে বায়🃏ু দূষণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না।
কিন্তু, এবার উপরোক্ত দাবি করা বিশেষজ্ঞরা কী বলবেন? কারণ, তথ্য বলছে - পঞ্জাবের কৃষকদের দ্বারা ফসলের খড় পোড়ানোর ঘটনা ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। তারপরও হ্রাস করা যা😼য়নি দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রকাশ করা প্রতিবেদন অনু✱সারে, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোব🧸র (গতকাল) পর্যন্ত পঞ্জাবে মোট ১,৯৯৫টি খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
গত বছর এই সময়ের মধ্যেই পঞ্জাবের বিভিন্ন খামারেꦺ খড় পোড়ানোর ঘটনার সংখ্যাটা ছিল ৪,০৫৯। পঞ্জাব রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তথ্যভাণ্ডার অন্তত তেমনটাই বলছে।
এছাড়া, যদি ২০২২ সালের নিরিখে হি❀সাব করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই দুই বছরের মধ্যে পঞ্জাবে ফসলের খড় পোড়ানোর ঘটনা কমেছে প্রায় 🦂৭৫ শতাংশ। কারণ, সেই বছর সংশ্লিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এমন ৮,১৪৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
এত দিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে ধান কাটার পর পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লি লাগোয়া রাজ্যগুলিতে ফসলের খড༺় পোড়ানোর বাড়বাড়ন্তের জেরেই এই সময় দিল্লিতে বায়ু দূষণ বাড়ে।
এখনও পঞ্জাবে ধান কাটার কাজ চলছে। তা সত্ত্বেও, রবিবার পঞ্জাবে মোট ১৩৮টি ফার্ম ফায়ার বা ফসলের খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সবথেকে বেশি এমন ঘটনা ঘটেছে ফিরোজপুরে। সেই তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে য𝓰থাক্রমে - সাংরুর ও ফতেগড় সাহিব।
অথচ, ২০২২ এবং ২০২৩ সালের এই দিন💝টিতে পঞ্জাবে খড় পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল যথাক্রমে - ১,১১১টি এবং ৭৬৬টি। কিন্তু, ফসল পোড়ানোর অভ্যাসে এভাবে লাগাম টানার পরও দিল্লির বায়ু দূষণে তার বিশেষ কোনও পᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্রভাব পড়েনি।
কারণ, সোম🍃বারও দিল্লিতে বায়ুর গুণমান সূচক বা একিউআই ছিল ৩৫৫! যা 'অত্যন্ত খারাপ' হিসাবে গণ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, ধান কাটার পরই শুরু হয় রবি শস্য চাষের সময়। তাই যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের ক্ষেত পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন কৃষকরা। সেই কারণে ফসল কাটা হয়ে গেলে ধানের জমিতে আগুন ধরিয়ে দ🌄েন তাঁরা।
তাতে জমি দ্রুত খালি হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু, প্রচুর পরিমাণে দূষিত পদার✱্থ মিশ্রিত ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। যা বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
পঞ্জাবের ৩১ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমিতে ধান চꦛাষ করা হয়। যার জেরে প্রতি বছর পঞ্জাবে প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ লক্ষ টন খড় তৈরি হয়।
২০২৩ সালে পঞ্জাবে সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার ৬৬৩টি খড় পোড়ানোর ঘটনা 🌌ঘটেছিল। যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৬♒ শতাংশ কম ছিল।