সোমবার বিকেলে দিল্লির নজফগড়ে একটি দ্রুতগামী ক্লাস্টার বাসের সঙ্গে একটি মোটরবাইকের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় বাইক আরোহী স্বামী-স্ত্রী প্রাণ হারান। মর্মান্তিক ঘটনার সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হল, গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল চালক। সেই সময়ে সাহায্য করার পরিবর্তে ভিডিয়ো করতে থাকে প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীরা। সময় মতো চিকিৎসার অভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। নজফগড়ে খাইরা মোড়ের এই ঘটনা প্রশ্ন তুলছে বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই শুক্রযান লঞ্চ করবে ভারত, নববর্ষের বার্তায় জানালেন ইসরো প্রধান
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর আড়াইটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরবাইকটি সাধারণ গতিতেই ধানসা বাসস্ট্যান্ড থেকে ধানসা গ্রামের দিক🌸ে যাচ্ছিল। সেই সময়েই ধানসা স্ট্যান্ড থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ক্লাস্টার বাস মোটরসাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। পিষে দেয় বাস।
আরও পড়ুন : এবার সপ্তাহান্তে জারি হবে কার্ফু, করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে সিদ্ধান্ত দিল্লির
দু'জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। কিন্তু তাঁদের উপর দিয়ে বাস চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। তাঁর স্বামী সুরেশ গুরুতর আহত হন। কিন্তু তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে স্থানীয়রা দুর্ঘটনার ভিডিয়ো বানাতে থাকে। তবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কয়েকজন পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে বাবা হরিদাস নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁไছে আহত সুরেশকে হাসপাতালཧে নিয়ে যায়। ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়। আরও একটু আগে সুরেশকে হাসপাতালে আনা গেলে হয় তো চিকিত্সকরা শেষ চেষ্টা করতে পারতেন। পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত বাস চালকের খোঁজ চলছে।