ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার। আর তার ফলেই হাওড়া-নয়াদিল্লি যাত্রার সময় কমাবে ভারতীয় রেল। কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা কম সময় লাগবে, জানালেন রেলের আধিকারিকরা।১,৫২৫ কিমি পথ। 'মিশন রফতার' প্রকল্পের অধীনে এটি বাস্তবায়িত হবে। এর লক্ষ্য হল দেশের গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো। আর তার মাধ্যমে ভ্রমণের সময় কমানো।তবে এই প্রথম নয়। প্রকল্পের অধীনে একটি অনুরূপ পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছ। ১,৪৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ নয়াদিল্লি-মুম্বই রুটে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়েছে।বর্তমানে, রাজধানী এক্সপ্রেস হল নয়াদিল্লি এবং হাওড়ার মধ্যে দ্রুততম ট্রেন। বিহারের গয়া হয়ে যাত্রা সম্পূর্ণ করতে মোট ১৭.০৫ ঘণ্টা সময় লাগে।জাতীয় পরিবহনের এক আধিকারিকের দাবি, 'মিশন রফতার বাস্তবায়িত হলে, এই রুটে রাজধানী এক্সপ্রেস ১৫ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তার গন্তব্যে পৌঁছাবে।২০২০ সালের জুলাই মাসে এই রুটে সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উন্নীত করা হয়েছিল।রেললাইন ধরে বেড়া, ওভারহেড সরঞ্জাম পরিবর্তন এবং স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা মাধ্যমে ট্র্যাক উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন রেলের এক আধিকারিক।ওভারহেড ইকুইপমেন্টগুলি বিশ্বমানের হবে বলে জানালেন ওই আধিকারিক। ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চিনের মতো দেশে এই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বলে জানালেন তিনি।ভ্রমণের সময়কাল বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন গতিবেগ, ট্রেন থামানোর সময়, রোলিং স্টকের সর্বাধিক অনুমোদিত গতি এবং স্থায়ী গতির সীমাবদ্ধতা। ফলে সেগুলি 'ফাইন টিউন' করারও প্রয়োজনীয়তা আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কয়েক মিনিট, এমনকি কয়েক সেকেন্ড করে কমাতে পারলেও কমে আসবে যাত্রাকালের সময়।হাওড়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেস গড়ে ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলে। এটিই ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।এখনও পর্যন্ত এই পরিকল্পনার ৩৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।কোভিডের আগে, নয়াদিল্লি-হাওড়া রুটে প্রতিদিন ১২০টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং প্রায় ১০০টি পণ্যবাহী ট্রেন ব্যবহার চলত।রেলওয়ের আশা, আগামী বছর পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য ডেডিকেটেড মালবাহী করিডর চালু হবে, তার ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য রেল আরও ফাঁকা থাকবে। মালগাড়ি পাস করানোর জন্য ট্রেনকে মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। রেল বোর্ডের ট্রাফিকের প্রাক্তন সদস্য ভিএন মাথুর বলেছেন, 'মিশন রাফতারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল ট্র্যাকের বাঁক। যেখানে যেখানে লাইন টার্ন নিয়েছে, সেখানে সুরক্ষা বজায় রেখে সর্বোচ্চ কতটা গতি তোলা যায়, তাই নিয়ে কাজ করছি আমরা।'