‘যান্ত্রিক সমস্যার’ কারণে সাময়িকভাবে ভারতীয় কূটনীতিবিদের মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাতেও অবিচল থাকল ভারত। সেইসঙ্গে গত সপ্তাহে বেজিংয়ে আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের পরিবহণ শীর্ষক সম্মেলনে চিনের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) কড়া 🐓বিরোধিতা করল নয়াদিল্লি।
গত ১৪-১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘের আর্থিক এবং সামাজিক বিষয়ক দফত🍎রের আওতায় সেই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল চিন। বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রিয়াঙ্কা সোহোনি চিনের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ নিয়ে নয়াদিল্লির আপত্তির বিষয়টি যখন বিশ্লেষণ করছিলেন, তখন আচমকাই তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়। সোহোনি জানান, চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রকল্পের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে ভারত। ভারতের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে তথাকথিত🦂 চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প।
চিন এবং পাকিস্তানের নাম না করেই ভারতীয় কূটনীতিবিদ বলেন, ‘কোনও দেশই এমন কোনও কর্মসূচিকে সমর্থন করতে পারে না, যা সংশ্লিষ্ট দেশে সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার মতো মূল উদ্বেগের বিষয়কে অবহেলা করে।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, প্রাথমিক সেই বিষয়গুলি ছাড়াও ব🎃ৃহত্তর ক্ষেত্রেও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে একাধিক সমস্যা আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত যে কর্মসূচি নেওয়া হয়, তা অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করতে হবে বলে মনে করে ভারত। উন্মুক্ত বিষয়, স্বচ্ছতা এবং আর্থিক দায়-দায়িত্বের নীতি মেনে চলতে হবে।
সেই কড়া ভাষা প্রয়োগের সময়ই আচমকা সোহোনির মাইক্রোফোন বন্ধ হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক মহল এবং চিনা প্র𝐆তিনিধিরা তাঁর কথা শুনতে পাচ্ছিলেন না। রাষ্ট্রসংঘের আর্থিক এবং সামাজিক বিষয়ক দফত🧔রের আন্ডার-সেক্রেটারি তথা প্রাক্তন চিনা উপ-বিদেশমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন জানান, পুরোপুরি ‘যান্ত্রিক সমস্যার’ কারণে এমন হয়েছে। সেইসঙ্গে সোহোনিকে ‘ধৈর্য’ ধরতে বলেন লিউ। পরে মাইক্রোফোনে ফের কথা শোনা যায়। তারপর নিজের ভাষণ শেষ করেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ।