শুল্ক নিয়ে আচমকা 'ব্যাক গিয়ার' মারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে দেশগুলির উপরে পালটা শুল্ক চাপিয়েছিলেন, সেগুলির অধিকাংশকেই তিন মাসের জন্য স্বস্তি দিলেন। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রে পালটা শুল্ক চাপানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা ৯০꧋ দিনের জন্য স্থগিত রাখছেন। যদিও সেই তালিকায় চিনের নাম নেই। বরং দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেজিংয়ের ক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ঘোষণা করতেই তড়িঘড়ি ধন্যবাদ জানালেন ইউনুস
আর ট্রাম্পের সেই ঘোষণার পরই বꦿাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের ক্রেডিট নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার পরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস বলেছেন, ‘(বর্ধিত) শুল্ক ধার্য করার উপরে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ জারি করার যে আর্জি জানিয়েছিলাম আমরা, তাতে ইতিবাচ🅠কভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মিস্টার প্রেসিডেন্ট। আপনাদের বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে আপনার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করব।’
যদিও শুধুমাত্র বাংলাদেশের কথায় যে নয়া শুল্ক নীতির (পালটা শুল্ক) উপরে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছেন, তা মোটেও বলেননি ট্রাম্প। বরং নিজের সোশ্যাল মিডিয়া 'ট্রাম্প সোশ্যাল'-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক বিষয়ে কথা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে '৭৫টির বেশি দেশ'। সেই পরিস্থিতিতে 'পালটা শুল্কের উপরে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ জ🐈ারি ক♚রার অনুমোদন করেছি।' তবে চিন থেকে আসা পণ্যের থেকে শুল্ক বাড়িয়ে যে ১০৪ শতাংশ করেছিলেন, সেটা আরও ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন।
বাজারের চাপের কাছে মাথানত ট্রাম্পের?
তবে বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে নয়া শুল্কনীতি ৯০ দিনের 🀅জন্য স্থগিত রাখার বিষয়টি ট্রাম্প এমন একটা সময় ঘোষণা করেছেন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পালটা শুল্কনীতির কারণে বিশ্বের অর্থনীতি হাবুডুবু খাচ্ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রক্তক্ষরণ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে। সেই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যে 'ব্যাক গিয়ার' মারলেন, তা আদতে বাজারের চাপের মুখে কিছুটা মাথা নোয়াতে বাধ্য হলেন কিনা, তা নিয়ে একটি মহলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
যদিও সেই বিষয়টি মানতে চাননি হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছেন, আলোচনার যে নীতি আছে ট্রাম্পের🃏, সেটারই অংশ হল এমন সিদ্ধান্ত🎉। আলোচনার সবথেকে ভালো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছেন। কিন্তু তিনি যে কাজটা করেছেন, সেটা দেখতে ব্যর্থ হয়েছে সংবাদমাধ্যম। মিডিয়া বলার চেষ্টা করেছিল যে পালটা শুল্কনীতির ফলে বাকি দুনিয়ার চিনের দিকে ঝুঁকবে। কিন্তু বাস্তবে উলটোটাই হচ্ছে। চিনকে নয়, বরং বাকি দুনিয়া যোগাযোগ করছে আমেরিকার সঙ্গেই।