বাংলাদেশের হাইকোর্টের সামনে চলছে বেনজির বিক্ষোভ। সামিল হয়েছেন ওপার বাংলার তরুণীরা। কারণ বাংলাদেশ হাইকোর্টের পোশাক নিয়ে করা মন্তব্য! প্রতিবাদে নজরে আসছে একাধিক স্লোগান, "অশ্লীল নজর অসভ্যতা", "নজর সামলে রাখুন", "মাই বডি মাই চয়েস" এর মতো স্লোগান উঠছে সেই প্রতিবাদ থেকে।কেন এই বিক্ষোভ? তরুণীদের মতে, তাঁরা কী পরবেন, কী করবেন সেটা তাঁদের পছন্দ। আদালত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারে না। আদালতের কোনও মন্তব্য মানা যায় না এই বিষয়ে। আরও বিস্তারিত বলতে গেলে, ১৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নরসিংদী রেলস্টেশনে হেনস্থা করা হয়। তাঁকে মারধর করা হয় খুব। আর সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হতে থাকে সমালোচনা। তারপর অবশেষে এক প্রকার চাপে পড়েই ওই রেলস্টেশনের পুলিশ ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করে। এই মামলার জেরেই ৩০ মে অভিযুক্ত মর্জিয়া আখতারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ক্রমেই সেই বিষয় গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। তখন হাইকোর্ট তাঁকে প্রশ্ন করে যে সভ্য দেশে এমন পোশাক পরা যায় কিনা। একই সঙ্গে আদালত জানায়, মেয়েটি প্ল্যাটফর্মে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন। আদালত এমন মন্তব্য করার পরই সমালোচনা বদলে যায় প্রতিবাদে। বিক্ষোভ মিছিলে, প্রতিবাদে সামিল হন বাংলাদেশের তরুণীরা।২২ অগস্ট, সোমবার ৪০ মিনিট ধরে ১৪ জন তরুণী বিক্ষোভ অবস্থান করেন। তাঁরা তাঁদের হাতে মুখে নানান স্লোগান লিখে এনেছিলেন। এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকর্মী অপরাজিতা সঙ্গীতা। অংশ নিয়েছিলেন শিল্পী থেকে নাট্যকর্মী, গবেষক, শিক্ষক, ইত্যাদি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা মহিলারা। তাঁদের সবার একটাই মত ছিল সরকার বা আদালত কেউই কখনও ঠিক করে দিতে পারেন না যে মহিলারা কী পরবেন আর কী নয়। তাঁদের জীবন যখন, তাঁদের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরার।