সমস্ত রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে দোসরা জানুয়ারি করোনা টিকাকরণের মহড়া করা হবে বলে এদিন জানিয়েছে কেন্দ্র। কী কী সমস্যা হতে পারে পরিকল্পনা ও কার্যকরণের মধ্যে, সেটা উঠে আসবে এই মহড়ায়। প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে কমপক্ষে তিনটি স্থানে এই মহড়া হবে। মহারাষ্ট্র ও কেরালা রাজধানীতে নয় অন্য বড় শহরে মহড়া করবে পরীক্ষামূলক ভাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে পুরো বিষয়টি ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য এই ড্রাই রান করা হচ্ছে। ম বাস্তবে কার্যকরী হচ্ছে কিনা, সেটা দেখা হবে। যেসব স্থানে টিকাকরণ হবে, সেখানে প্রস্তুতি কেমন সেটা খতিয়ে দেখতে সব রাজ্য়ের স্বাস্থ্য মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। ভ্য়াকসিন সংক্রান্ত যে এসওপি কেন্দ্র দিয়েছে, সেটার ওপর ভিত্তি করেই এই কাজ হবে। প্রতি রাজ্যে যে তিন স্থানে টিকাকরণ হবে, তার জন্য ২৫ ভলান্টিয়ার বেছে নেওয়া হবে যাদের টিকা দেওয়া হবে। এটি স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে ও তারপর সেই সংক্রান্ত তথ্য Co-WIN অ্যাপে তোলা হবে। টিকাকরম কেন্দ্রে সবকিছু ঠিকঠাক আছে সেটা আগে থেকেই রাজ্যদের নিশ্চিত করতে হবে। টিকাকরণ কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনটি ঘর ও প্রবেশ ও প্রস্থানের পৃথক রাস্তা রাখতে হবে। এছাড়াও ভ্যাকসিন বণ্টন ও কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াও ঝালিয়ে নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে ৯৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কীভাবে রাজ্য়গুলি সেই ঘটনাটির মোকাবিলা করবে, সেটারও পরীক্ষা হবে এদিন। এর আগে চার রাজ্যে ড্রাই রান হয়েছে। কিন্তু এত বড় মাপের মহড়া এই প্রথম। এখনো কোনও ভ্যাকসিনকে সরকার ছাড়পত্র দেয়নি যদিও কয়েক দিনের মধ্যেই সেই সবুজ সঙ্কেত আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।