দুবাইতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল দুই মহিলার। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এক ভারতীয় ও এক বাংলাদেশীর। এবার সেই ঘটনায় এক ভারতীয়কে জরিমানা ও ব্লাড মানি বা ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে মোট ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই মাসে এই দুর্ঘটনা হয়েছিল। সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে এই ক্ষতিপূরণের অর্থকে সাধারণত ব্লাড মানি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এর জেরে আদালতের তরফ থেকে ১৮ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত গত ৩ জুলাই দুবাইয়ের আল বর্ষা এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছিল দুজনের। সেই ঘটনায় এবার বড় নির্দেশ দিল দুবাইয়ের আদালত।দুবাই ট্রাফিক কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, একজন ভারতীয় ও অপরজন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। দুজনের বয়সই ৪৮ বছর। তারা সেদিন অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। সেই দুর্ঘটনার পরেই দুজন মহিলার মৃত্য়ু হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন জখম হয়েছিলেন।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন ওই বাংলাদেশি ব্যক্তি মাঝরাস্তায় আচমকা গাড়িটি থামিয়ে দিয়ে ঘোরার চেষ্টা করেন। এদিকে ওই ভারতীয় অন্য গাড়িতে ছিলেন। তিনি অন্য গাড়িটি ঠিকঠাক দেখতে পাননি। তিনি সোজা গিয়ে ধাক্কা দেন অপর গাড়িটিকে।এরপর ওই দুটি গাড়ি গিয়ে অপর একটি গাড়়িকে ধাক্কা দেয়। তার জেরেই সৌদির একটি পরিবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তার মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়।এরপরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদির আদালত। অন্যায়ভাবে কাউকে মৃত্য়ুর দিকে ঠেলে দেওয়া, জখম করা, একে অপরের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই দুজনের বিরুদ্ধে। ভারতের যে ব্যক্তি তাকে ৪৫,০৯২টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৮লাখ ০৩ হাজার ৬৮৩ টাকা ব্লাড মানি হিসাবে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে বাংলাদেশির ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, কেউ যদি দুবাইতে অন্য কারোর মৃত্যর জন্য দায়ী হন তবে তাকে একদিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। অন্যদিকে তাকে ব্লাড মানিও দিতে হয়। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এই ব্লাড মানি দিতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পথ দুর্ঘটনার জেরে এই ব্লাড মানির নির্দেশ দেওয়া হয়।এক্ষেত্রে এবার দুবাইতে এক ভারতীয় ও এক বাংলাদেশীকে ব্লাড মানি ও ক্ষতিপূরণ উভয়ই দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।