তাপপ্রবাহের ফলে দেশের রাজধানীতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিল্লি💙তে ৪৮ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজধানীতে শুধুমাত্র চলতি সপ্তাহে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত হিটস্ট্রোকের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য দফত♍র।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় দিল্লি ও নয়ডায় হিটস্ট্রোকꦚে মৃত ১৫ জ✱ন, তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
দিল্লি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় তাপজনিত অসুস্থতার কারণে ৩১০ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালেই ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত যাদ💝ের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই গৃহহীন অথবা পথচারী। গত দুদিনে হঠাৎ করেই দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। দিল্লি সরকার সমস্ত হাসপাতালে এই ধরনের মৃত্যুর সঠি😼ক কারণ নির্ণয় করার জন্য একটি তিন সদস্যের প্যানেল গঠন করবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত সফদরজং হাসপাতাল প্রাথমিকভাবে হিটস্ট্রোকে পাঁচ জনের ম🌳ৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছি🍒ল। তবে, পরে বলা হয় হিট স্ট্রোকের কারণে মাত্র দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আরএমএল হাসপাতালে বুধবার ১১ জন হিট স্ট্রোক রোগী এবং ৩৬ জন গরমে অসুস্থ রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানকার এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হিট স্ট্রোকের কারণে হয়েছে। লোক নায়ক হাসপাতালে, ১ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকের ৬৬টি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে মঙ্গলবার দুই রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বুধবার আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। হিট স্ট্রোকের কারণে এই মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লোক নায়ক হাসপাতালে গত ৪৮ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের কারণে ৬ জন এবং জিটিবি হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বুধবার দিল্লির সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টরদের সঙ্গে হিট স্ট্রোকের রোগীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। হাসপাতালগুলিকে এই ধরনের ক্ষেত্রে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, নয়ডায় বুধবার সেক্টর ৩৯-🍨এর জেলা হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়♚েছে।