শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের ইউনুস সরকার এই চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকারী এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ সরকার গঠিত এক পর্যালোচনাধর্মী কমিটি। উল্লেখ্য, সদ্য ঘুষকাণ্ডে নাম জড়ান🏅োয় খবরের শিরোনামে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত সংক্রান্ত এক ঘটনায় মার্কিন আদালত, সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়া এবং ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে আদানি সহ একাধিকজনকে। তারপর কেনিয়া সরকার সেদেশে আদানিদের সঙ্গে বিমানবন্দর সহ একাধিক চুক্তি বাতিল করে। এরপর আদানি গোষ্ঠীর চুক্তি নিয়ে পদক্ষেপে বাংলাদেশ।
কিছুদিন আগে, আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, বিদ্যুতের বকেয়া বাবদ ৮০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে ঢাকার কাছে। জবাবে বাংলাদেশ জানিয়েছে, ডলারের সংকট সত্ত্বেও তারা আদানিগোষ্ঠীকে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১২৩৪ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশের এই বিদ্যুৎ চুক্তি হয়েছিল শেখ হাসিনার আমলে। শেখ হাসিনা ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ অগস্ট পর্যন্ত বাꦰংলাদেশের তখতে ছিলেন। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি ৫ অগস্ট ভারতে আসেন।
( Budh Asta Lucky Rashi:ꦍ বু𒐪ধ অস্ত যেতেই কপাল খুলবে বহু রাশির! আপনারটিও কি তালিকায়? রইল জ্যোতিষমত)
এদিকে, হাসিনা-হীন বাংলাদেশে বর্তমান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,' বিদ্যুৎ, শক্তি এবং খনিজ সম্পদ দফতরের ন্যাশনাল রিভিউ কমিটি সুপারিশ করেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের স্বৈরতন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বড়বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তিগুলি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকারী এজেন্সির ওপর দায়িত্ব দেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বড়বড় বিদ্যুৎ চুক্তিগুলি খতিয়ে দেখছে সেখানের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটি। সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশের তরফে যে বড়বড় বিদ෴্যুৎ প্রজেক্টগুলির কথা বলা হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে আদানিদের বিদ্যুৎ (গোড্ডা প্রজেক্ট) চুক্তি। বাকি যে ছয়টি বিদ্যুৎ চুক্তি রয়েছে, তাতে চিনের একটি সংস্থার প্রজেক্টও রয়েছে। ইউনুস সরকারের বিবৃতি অনুসারে, ওই কমিটি এমন বহু প্রমাণ পেয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম অনুসারে এই চুক্তিগুলিতে বাতিল বা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। আর বাকি পাঁচটি সংস্থা, হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বলে একটি সূত্রের দাবি। এই চুক্তিগুলি করার নেপথ্যে অন্য কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল কি না, তা প্রধান হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলেও জানানো হয়েছে।