নির্বাচনের আগে তোলপাড় পঞ্জাবের রাজনীতি। বেআইনি বালি খাদান মামলায় গ্রেফতার করা হল সেরাজ্যের মু্খ্যনন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ভাইপোকে। গতকাল ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার জলন্ধরে ভূপিন্দর সিং ওরফে হানিকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তাঁকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ইডি লুধিয়ানা, ফতেহগড় সাহেব, রূপনগর এবং পাঠানকোট জেলায় ভূপিন্দর সিংয়ের সম্পত্তিতে তল্লাশি চালায়। তাছাড়া তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার এবং মোহালিতে ছয় খনি শ্রমিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। পঞ্জাবের আরও ১০টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এরপর ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সব তল্লাশি জারি রাখে। দুই দিন ধরে চলা অভিযানের সময় ভূপিন্দর সিং এবং তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার সন্দীপ কুমারের কাছ থেকে অন্যান্য মূল্যবান জিনিস ছাড়াও নগদ ১০ কোটি টাকা বাদেয়াপ্ত করেছিল ইডি।ইডির মতে, ভূপিন্দর এবং সন্দীপের সাথে কুদরত সমান অংশীদারিত্বে ২০১৮ সালে প্রোভাইডার ওভারসিজ কনসালটেন্সি লিমিটেড নামে একটি ফার্ম স্থাপন করেছিলেন। এদিকে ২০১৮ সালে এসবিএস নগরে পঞ্জাব পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছিল অবৈধ বালি খনি সংক্রান্ত একটি এফআইআর। সেই মামলাতেই অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছিল। সেই মামলার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর ফার্মের যোগসূত্র ছিল বলে দাবি ইডির। তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইডি গত বছরের নভেম্বরে জলন্ধরের জোনাল অফিসে একটি ECIR (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করেছিল। এফআইআরে কুদরত সহ ২৬ জন অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই ট্রাক চালক ছিল। এফআইআর-এ অবশ্য ভূপিন্দরের নাম ছিল না। এদিকে এর আগে কুদরতকে ফলো-আপ তদন্তে এসবিএস নগর পুলিশ ক্লিন চিট দিয়েছিল। তবে ইডির খাতায় সেই কুদরতেরও নাম ছিল।কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পাওয়া অডিট রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ভাইপো ভূপিন্দর সিং ওরফে হানি এবং তাঁর সহযোগী কুদরত দীপ সিং এবং সন্দীপ কুমারের মালিকানাধীন ফার্মের মোট আয় ছিল ১৮.৭৭ লক্ষ টাকা।