মাদ্রাজ হাইকোর্টের করোনা পর্যবেক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে যে ভর্ৎসনা করেছিল তা সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছিল। এবার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয় তার জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্বাচন কমিশন। তাদের হলফনামায় বলা হয়েছে—যে নির্দেশ, রায় এবং পর্যবেক্ষণ আদালত রেকর্ড করছে তা সংবাদমাধ্যম সম্প্রচার বা প্রকাশ করুক। মৌখিক যꦍে কথা এজলাসে বলা হচ্ছে তা থেকে বিরত থাকুক। তামিলনাড়ুর ভোট গণনার সময় এই নির্দেশ দেওয়া হোক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই আবেদন আসলে নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লাগার কারণ বলে মন𝓰ে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত ২৬ এপ্রিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট দেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন🐎কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আজ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী। যখন বড় বড় সমাবেশ হচ্ছিল তখন আপনারা কী অন্য গ্রহে ছিলেন? আপনাদের বিরুদ্ধে তো খুনের মামলা দায়ের করা উচিত। আর এই সমস্ত কথা সংবাদমাধ্যম, সংবাদপত্র এবং ডিজিটাল মিডিয়া ফলাও করে প্রকাশ করেছিল। আর তাতেই নাকি আঁতে ঘা লেগেছে নির্বাচন কমিশনের বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে পাল্টা আবেদন করেছে তারা।
তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সত্যব্রত শাহু ♏হলফনামা জমা দিয়েছেন আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মৌখিক পর্যবেক্ষণ চূড়ান্ত রায়ে নথিভুক্ত করা হয়নি। সেইদিন সেই মামলায় মৌখিক পর্যবেক্ষণ নথিভুক্ত করা হয়নি। অথচ মিডিয়া তা নিয়েই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মৌখিক পর্যবেক্ষণই খবরে স্থান পেয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের মতো একটি🌜 স্বশাসিত সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।