গ্রেফতারির ১১ দিনের মাথায় টুলকিট মামলায় জামিন পেলেন পরিবেশকর্মী দিশা রবি। মঙ্গলবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের টুলকিট সংক্রান্ত মামলায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২২ বছরের পরিবেশকর্মীকে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর তিনদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কাটিয়েছিলেন। গতকাল (সোমবার) তাঁকে একদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় দিল্লি পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অপর দুই অভিযুক্ত শান্তনু মুকুল এবং নিকিতা জ্যাকবের মুখোমুখি বসিয়ে দিশাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে মঙ্গলবার দিশার জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘অত্যন্ত সামান্য এবং ভাসাভাসা প্রমাণ থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে ২২ বছরের মেয়ের জামিনের অধিকার ভঙ্গ করার কোনও উপযুক্ত কারণ পেলাম না। যাঁর অপরাধের কোনও ইতিহাস নেই।’দিশার গ্রেফতারির পর দিল্লি পুলিশের তরফে একাধিক টুইটবার্তায় জানানো হয়েছিল, ভারতে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ যে ‘টুলকিট’ শেয়ার করেছিলেন, সেটির অন্যতম প্রধান এডিটর ছিলেন দিশা। নথি তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। তৈরি করেছিলেন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ। ভারতের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরির জন্য 'পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশনের' নামে একটি ‘খলিস্তানপন্থী’ গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। এমনকী গ্রেটার সঙ্গে সেই ‘টুলকিট’ শেয়ার করেছিলেন দিশাই। পরে সেই ‘টুলকিট’ ভুলবশত প্রকাশ্যে চলে আসায় গ্রেটাকে তা সরিয়ে দিতে বলেছিলেন বেঙ্গালুুরুর পরিবেশকর্মী।যদিও দিল্লির একটি আদালতে দিশা দাবি করেছিলেন, তিনি কোনওরকম ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন যে গ্রুপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সে বিষয়েও কিছু জানেন না। আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দিশা। বলেন, ‘আমি কৃষকদের সমর্থন করেছি, কারণ তাঁরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের সবাইকে খেতে হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি টুলকিট তৈরি করিনি। আমি শুধুমাত্র দু'বার এডিট করেছি।’ দিল্লি অবশ্য জানিয়েছিল, দু'লাইনের থেকে ঢের বেশি এডিট করেছেন দিশা।