গোমূত্র একধরণের ওষুধ। করোনাভাইরাস রুখতে গোমূত্র সেবনের নিদানকে সমর্থন করে এমনই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি। দিলীপবাবুর মন্তব্যে ফের একবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধীরা।দিলীপবাবুর দাবি, ‘সবাই গোমূত্র খায়। দরকার পড়লে আবার খাবে। কাউকে ঘাড় ধরে খাওয়ানো হচ্ছে না। যার বিশ্বাস আছে খাবে। বহু ওষুধ যুগযুগ ধরে চলে আসছে। এটাও এক ধরণের ওষু।‘গোমূত্র সেবনে সমর্থন করে মঙ্গলবার অলআউট খেলেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে সবাই কখনও না কখনও গোমূত্র খেয়েছে। আমাদের পুজোপাঠ হয়, পঞ্চমৃত হয়, সেখানে প্রসাদে সেটা দিতেই হয়। সবাই কখনও জেনে কখনও না জেনে খেয়েছেই। এখন নাক সিঁটকাচ্ছে।‘এর পরই বিরোধীদের আক্রমণের পথে হাঁটেন দিলীপবাবু। বলেন, কিছু লোকের করে এক, বলে এক।‘ রাজ্য বিজেপি সভাপতির আশ্বাস, ‘কেউ কাউকে জোর করে গোমূত্র খাওয়াবে না। জোর করে কিছু খাওয়ানোর অধিকার কারও নেই। এসব নাটকবাজি। বিজেপির বিরোধিতার জন্য করা হচ্ছে।‘এর পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের স্বমূত্র চিকিত্সা পদ্ধতিতে আস্থার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, ‘মোরারজি দেশাই তো নিজের মূত্র খেতেন। যাঁরা জানে না, কিছু অর্বাচীন আছে, তাদের নতুন জিনিস হজম করতে একটু দেরি হয়। যাঁদের কোনও জ্ঞান নেই। তাঁরাই বিজ্ঞানের ঠেকা নিয়েছে। তাঁদের কথা সমাজে কেউ গুরুত্বও দেয় না।‘দিলীপ ঘোষের পরামর্শ, ‘গোমূত্রে কী আছে তা নিয়ে তাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভাঙার দরকার নেই। এরা গোমূত্রও খায় না, গোদুগ্ধও খায় না।‘মেদিনীপুরের সাংসদের দাবি, ‘হিন্দু সমাজ গরুকে পুজো করে তাই আমাদের সমাজ বেঁচে আছে।‘বলে রাখি, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই গোমূত্র দিয়ে এর চিকিত্সা সম্ভব বলে দাবি করতে থাকে বেশ কিছু গেরুয়াপন্থী সংগঠন। সোমবার কলকাতায় গোপূজার পর গোমূত্র বিতরণ করেন কয়েকজন বিজেপি নেতা।চিকিত্সকরা যদিও বলছেন, গোমূত্র সেবনের ফলে মারাত্মক সব উপসর্গ হতে পারে। গোমূত্রে রোগ নাশক কোনও গুণ রয়েছে বলে তাদের জানা নেই বলে জানা নেই তাদের।যুক্তিবাদীদের দাবি, তার পরও তর্কের খাতিরে গোমূত্রে জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে বলে যদি ধরে নেওয়া যায় তাহলে সবার আগে গোমূত্র গরু নিজেই খেয়ে ফেলত। মানুষের জন্য রেখে দিত না কি?