রবিবার অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার 𒀰যে কৃষককে বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ ট্র্যাক্টর উপহার দি🎃লেন, তিনি ২০০৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে এক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে লড়োছিলেন। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত সাহায্য পেয়ে থাকেন। সোমবার তাঁর গ্রামে গিয়ে এমনই তথ্য জানতে পারলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বলিউড অভিনেতা ট্র্যাক্টর উপহার দেওয়ায় রাতারাতি খবরের শিরোনামে𒉰 স্থান করে নিয়েছেন চিত্তুরের কে ভি পল্লি ব্লকের মহালরাজুলাপল্লি গ্রামের কৃষক বীরাথাল্লু নাগেশ্বর রাও। বলদের পরিবর্তে খেতে দুই মেয়েকে হালে জুতে চাষের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে𝔉 শোরগোল পড়ে যায়।
সোমবার সকালে নাগেশ্বরের গ্রামে গিয়ে জেলা আধিকারিকরা ജজানতে পারেন, এই কৃষক আদতে এক মানবাধিকার কর্মী। লোক ౠসত্তা পার্টির হয়ে ২০০৯ সালে তিনি নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু হেরে যান। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবার একাধিক বার সরকারি সাহায্য লাভ করেছেন। কী রকম?
্ন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘গত বছর রাও ওয়াই এস আর বায়তু-ভরোসা-পি 💝কে কিষাণ প্রকল্পে চিনেবাদাম চাষের জন্য ১৩,৫০০ টাকা সাহায্য পান। এ বছরও ওই প্রকল্পে প্রথম কিস্ত🍌ি হিসেবে তাঁকে ৭,৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। দশ্ম শ্রেণির ছাত্রী তাঁর ছোট মেয়ে জগনন্না আম্মা ভোদি প্রকল্পে ১৫,০০০ টাকা পেয়েছে এবং তাঁর বড় মেয়ে জগনন্না থোডু প্রকল্পে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছে।’
এখানেই শেষ নয়। ওই আধিকারিকের দাবি, গায়তু ভর🧔োসা কেন্দ্র থেকে রাওকে কৃত্রিম সারের বস্তা দেওয়া হয়েছে, যা তিনি চিনেবাদাম চাষে ব্যবহার করেছেন। আধিকারিকটি জানিয়েছেন, ‘আসলে ওঁর উচিত সিড ড্রিল যন্ত্রের সাহায্যে বাদামের বী🉐জ বোনা। কিন্তু যন্ত্র পেতে দেরি হওয়ায় মেয়েদের নিয়ে বাব-মা বীজ বুনতে নেমে পড়েন।’
জানা গিয়েছে, গ্রামে যে বাড়িতে র🌳াও সপরিবারে বসবাস করেন, তা ইন্দিরাম্মা আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া। তাঁর বাবা-মা নিয়মিত বার্ধক্যভাতা পান। অতিমারীর কারণে পরিবারটি এককালীন ১,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছে রাজ্য সরকারের থেকে।
এর আগে মদলপল্লি শহরের চা ♛দোকানের মালিক নাগেশ্বর রাও সাংবাদিকদের জানিয়✤েছিলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ করার পরে তিনি গ্রামে ফিরে এসে নিজের দুই একর জমিতে চাষ-আবাদ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু অর্থাভাবে বলদ কেনা বা ট্র্যাক্টর ভাড়া করা তাঁর সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমার দুই মেয়ে স্বেচ্ছায় জমি চাষ করায় সাহায্য 🌞করতে চায়, কারণ বীজ বোনার সময় এসে গিয়েছিল। দুই ভাইপোও সাহায্য করে। মজা করতে বা জনপ্রিয়তা পাওয়ার কথা ভেবে এ সব করিনি।’
নিজের নির্বাচনে লড়ার কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন রাও। তাঁর দাবি, পরিচিত এক♏ চিকিৎসক ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর মনে হয়, তাঁর বদলে নাগেশ্বর নির্বাচন লড়লে বেশি ভোট পাবেন। তাই তাঁর জোরাজুরিতেই প্রার্থী হতে হয়েছিল। সে বার তাঁর নামে ১,০০০ ভোট পড়ে। তবে প্রার্থী হলেও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নেই, সাফ জানিয়েছেন কৃষক।&nbs♚p;
সরকারি সাহায্য পাওয়ার কথাও লুকোননি নাগেশ্🙈বর রাও। জানিয়েছেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমাদের অনেক ভুগতে হয়েছে। কিন্তু আমরা কারও কাছে সাহায্য ভিক্ষা করিনি। ভাবিনি মেয়েদের জমি চাষ করার ভিডিয়ো ভাইর💜াল হবে আর তার জেরে সোনু সুদ স্যর আস্ত একখানা ট্র্যাক্টর পাঠিয়ে সাহায্য করবেন।’
কে বলে গরিবের কোনও গতি হয় না এ দেশে!