উৎপল পরাশর
সোমবারও প্রবল বর্ষণ উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকায়। অরুণাচল প্রদেশে ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর, অসমের কাছারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মৃত্যু হল ৬জনের। এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে অসমের ২০ জেলায় অন্তত ২০০,০০০ বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩৩,০০০ বাসিন্দা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি🌳র ফসল জলের তলায় চলে গিয়েছে।
এদিকে গত রবিবার থেকে𝕴 এইদিন পর্যন্ত Arunachal Pradesh'এ দুটি আলাদা ধসের জেরে পাঁচজনের🍌 মৃত্যু হয়েছে। ৬জন জখম হয়েছেন। এদিকে অসমের বরাক উপত্যকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে এদিন। নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের সি♓পিআরও সব্যসাꦺচী দে জানিয়েছেন, ২৭টি পয়েন্টে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে।২৪ মে পর্যন্ত ২৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, দ𓄧ক্ষিণ অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নিউ হাফলংয়ের রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৩টি জায়গার মধ্যে ১১টি পয়েন্টে মেরামতি হয়েছে। অন্যদিকে হাফলং-জাট💝িঙ্গা রাজ্য সড়কের কিছু এলাকা এদিন নতুন করে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত উত্তর পূর্বের চার রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টি হয়। তার জেরেই পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে।
IMD'র বিজ্ঞানী সুনিত দাস বলেন, দক্ষিণ🌜 ও দক্ষিণ পশ্চিমে প্রবল বাতাস ও বঙ্গোপসাগরের উপর জলীয় বাস্প ঘনীভূত হওয়ার জেরে এই অতি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে অতীতেও মে মাসে উত্তর পূর্ব ভারতে অতি বৃষ্টি হয়েছে। IMD জানিয়েছে ১৯ মে পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর ꦺও ত্রিপুরাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।