উত্তর কেরলে খাদ্যে ভয়াবহ সংক্রমণ। জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অন্তত ৬০জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ফুড পয়েজনিংয়ের জেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বেশিরভাগ পড়ুয়ারই বমি হচ্ছে। অনেকের পাতলা পায়খানা হচ্ছে। ডায়ারিয়া হয়ে গিয়েছে তাদের। শনিবার থেকেই তাদের এই সমস্যা হয়েছে। সোমবারও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ৪৮৬জন পড়ুয়া ওই আবাসিক স্কুলে রয়েছে। ঠিক কী কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তা দেখা হচ্ছে।ইতিমধ্যে স্কুলের রান্নাঘর খতিয়ে দেখেছেন আধিকারিকরা। কিন্তু পচা কোনও রান্না পাওয়া যায়নি। জেলা ফুড সেফটি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি হস্টেলের খাবার থেকে ব্যাপারটি হয়ে থাকে তবে আরও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ত। চিকিৎকরা জানিয়েছেন অনেকের শরীরেই জলশূন্যতা রয়েছে। তবে কয়েকজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে গত মাসেই কেরলে খাবারে বিষক্রিয়ার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছিল। কোট্টায়ামে একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। এরপর হোটেলগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ডিম দিয়ে তৈরি মেয়নিজ খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। এরপর হোটেল, রেস্তরাঁর মালিকরাও মেনে নিয়েছিলেন যে ভেজিটেবিল অয়েল দিয়ে তৈরি মেয়নিজ পরিবেশন করা হবে। কারণ একাধিক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডিম দিয়ে তৈরি মেয়নিজ থেকেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।তবে এবার একেবারে হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাদের চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই কয়েকজন সুস্থও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যদি হস্টেলের খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ওই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে থাকে তবে হস্টেলের অন্যরা কেন অসুস্থ হয়ে পড়ল না? কারণ অন্যরাও ওই খাবার খেয়েছিল। সেক্ষেত্রে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারত। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি।তবে প্যাকেটজাত খাবার বিশেষত মেয়নিজের ক্ষেত্রে, সেটা কবে তৈরি হয়েছে, কতদিন পর্যন্ত তা ব্যবহারের উপযোগী থাকবে, কী দিয়ে সেটা তৈরি করা হয়েছে তা প্যাকেটের উপর উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup