🎀চরম অমানবিকার নজির। ৭২ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্যদের দিয়ে ধর্ষণ করাতেন স্বামী। ১০ বছর ধরে ৯০ বার ধর্ষিতা স্ত্রী। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে মাদকের নেশায় বুঁদ করে বাইরের অজানা লোক এনে তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চালাতেন ওই ব্যক্তি। ফ্রান্সের এক অবসরপ্র🐬াপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সে দেশের মানুষ।
ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আভিগননে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ডমিনিক প💮েলিকোট। ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানির প্রাক্তন কর্মচারী তিনি। বয়স ৭১ বছর। বছরের পর বছর ধরে, স্ত্রীয়ের অজান্তে, ট্রানকুইলাইজার দিয়ে তাঁকে মাদকাসক্ত করে অন্য পুরুষদের হাতে তুলে দিতেন ডমিনিক। স্ত্রীকে ধর্ষণ করানোর জন্য অনলাইনেই লোক খুঁজতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে যে ৭২ জন পুরুষ ৯২ বার ধর্ষ🦂ণ করেছেন ওই মহিলাকে। অভিযুক্তদের বয়স ২৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে। ইতিমধ্যেই, ৭২ জন ধর্ষকদের মধ্যে ৫১ জনকে খুঁজে বের করা হয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করেছেন নির্যাতিতা নিজেই।
আরও পড়ুন: (বাঙালির পাতে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ পড়বেꦓ𝕴 না দুর্গাপুজোয়, ফরমান জারি বাংলাদেশের)
সবটা জানাজানি হয় কীভাবে
সব থেকে বড় বিষয় হল যে এতবার তাঁকে ধর্ষণ করা হলেও ওই মহিলা এতদিন কিছুই জানতে পারেননি। তাঁকে ডমিনিক ঠিক এতটাই মাদকাসক্ত করে দিতেন যে দশ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে কী ঘটছে তা তিনি একেবারেই জানেন না। কিন্তু কথায় আছে, অপরাধ কখনও চাপা থাকে না। এমনটাই হয়েছিল ২০২০ সালে। ২০২০ সা🐷লের সেপ্টেম্বরে, মলে ঢুকে গোপনে মহিলাদের স্কার্টের নীচের ভিডিয়ো করার সময় ডমিনিককে ধরেছিল পুলিশ। পরে তাঁর কম্পিউটারে ডমিনিকের অচেতন স্ত্রীর শত শত ছবি এবং ভিডিয়ো খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তা থেকেই সামনে এসেছিল অভিযুক্তের নৃশংস কীর্তিকলাপ। এরপরেই সন্তানদে🤡র হাত ধরে, নিজের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলা। সেই বিচার এখনও চলছে।
আরও পড়ুন: (Shocking News: কিস্তি দিতে না পারায় হুমক♏ি দিচ্ছিলেন এজেন্টরা, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল স্বামী-স্ত্রী-মেয়ে)
জনসমক্ষেই হবে শুনানি
শুনানি হবে😼 শীঘ্রই। মহিলার দাবি, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের এই ভয়াবহতা সম্পর্কে জানা উচিত। তাই জনসমক্ষে শুনানি করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। এরপর মহিলার আইনজীবী স্টিফেন ব্যাবোনিউর সবটা শুনে বিচারক রজার আরাতা জনসাধারণের🦹 সামনেই এই বিচারের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডমিনিকের ট্র্যাক রেকর্ড আগাগোড়াই অত্যন্ত খারাপ। এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি আইনি সমস্যায় জড়িয়েছেন। ১৯৯১ সালে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। যদিও তা তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এরপর ১৯৯꧋৯ সালে ধর্ষণের চেষ্টা করার জন্যও আইনি বিপাকে পড়েছিলেন ডমিনিক। তাঁর দাবি, মাত্র নয় বছর বয়সে একজন পুরুষ নার্স ধর্ষণ করেছিল ডমিনিককে। তবে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ডমিনিক মানসিকভাবে অসুস্থ নন। তিনি মহিলাদের উপর বিরাট প্রভাব ফেলতে চান। সর্বশক্তিমান হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই, নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গেও অমানবিক কাজটি করতে পিছপা হননি। এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০ ডিসেম্বর ডমিনিকের নৃশংস কাজের শুনানি হবে।