গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধ🐻ন হয়েছে। রাম জন্মভূমি বিবাদে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অযোধ্যার ধন্নিপুরে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছিল মুসলিম পক্ষকে। সেই জমিতেই তৈরি হতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম মসজিদ। যার নাম হল মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ। এবার এই মসজিদের জন্য অনুদান সংগ্রহের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় মসজিদ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাইবার ক্রাইম 🐼থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় হবে ভারতের বৃহত্তম মসজিদ, ভিত্তিপ্রস্তর স্থ🐠াপন করবেন মক্কার ইমাম
মসজিদ ট্রাস্ট, ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার লখনউ পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযোগ, কিছু অসাধু চক্র অযোধ্যা মসজিদের জন্য অনুদান সংগ্রহ করছে। তারা রীতিমতো জাল নামে সরকারি এবং বেসরকꦿারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তহবিল সংগ্রহ করে চলেছে। মসজিদের প্রধান ট্রাস্টি জুফর ফারুকি বলেছেন, একটি সরকারি ব্যাঙ্ক এবং অন্যটি একটি ব🌼েসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তহবিল সংগ্রহ করছে। একটি ওয়েবসাইটে সেই অ্যাকাউন্টগুলি নম্বরগুলি দেওয়া রয়েছে। ঘটনায় লখনউয়ের গৌতমপল্লি থানায় সাইবার সেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ট্রাস্ট।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, রাম মন্দির বনাম বাবরি মসজিদ বিতর্ক নিয়ে ১০০ বছরেরও দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই দিন রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছিল। এই রায়ে আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অযোধ্যার রামজন্মভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বাবরি মসজিদ কমিটিকে জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়🦋াকফ বোꦬর্ডকে একটি বিকল্প জায়গা বরাদ্দ করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল।
এই উদ্দেশ্যে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ܫট গঠন করে। সেই ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে মসজিদ এবং সংশ্লিষ্ট জায়গায় নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
মুসলিমদের নবীর নামানুসারে নতুন মসজিদের নামকরণ হয়েছে ‘মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ’। এই মসজিদটিতে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্বকারী পাঁচটি ম♛িনার থাকবে। এগুলি হল– কালমা, নামাজ, হজ, যাকাত এবং রোজা। এছাড়꧋াও এখানে থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরান।