নীলগিরি জেলার কুন্নুরের নানজাপ্পা চাথিরামের গ্রামবাসীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিল সেনা। গত ৮ ডিসেম্বর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং অন্য ১৩ জন নিয়ে একটি হেলিকপ্টার ওয়েলিংটনে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে কুন্নুরে। সেই সময় সেই জ্বলন্ত হেলিকপ্টার থেকে সাওয়ারিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন এই গ্রামবাসীরা। ক্র্যাশের পরই বালতি নিয়ে উদ্ধারকাজে লেগে পড়েছিলেন তারা। আর এই কারণেই কৃতজ্ঞতা স্পরূপ নানজাপ্পা চাথিরামের গ্রামবাসীদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিল সেনা। গ্রামবাসীদের সামরিক হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদানের ঘোষণা করেছে সেনা।দক্ষিণ ভারতের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ অরুণ বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতি মাসে মেডিকেল ক্যাম্পও পরিচালনা করব। গ্রামে বেশ কয়েকজন বয়স্ক লোক আছেন এবং তাঁরা এই মেডিকেল ক্যাম্পের কারণে লাভবান হবেন।’ এদিকে কৃষ্ণসামি এবং চন্দ্রকুমার নামক দুই গ্রামবাসীকে পাঁচ হাজার টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই প্রথম এই দুর্ঘটনাটি দেখেছিলেন।প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর বায়ুসেনার মিগ-১৭ ভি৫ কপ্টার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত-সহ ১৪ জনকে নিয়ে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে নীলগিরির জঙ্গলে ভেঙে পড়ে৷ সেই ঘটনায় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয় সেদিনই৷ ঘটনায় একমাত্র জীবিত ব্যক্তি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংও দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গতকাল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিধ্বংসী আগুনে কপ্টার সাওয়ারীদের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে ডিএনএ শনাক্তকরণের প্রয়োজন দেখা দেয়৷