চাপে ফেলার মতো সেরকম কোনও মন্তব্য করা হল না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিল আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক। ২০২০ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্টে দিল্লি হিংসা, কꦑরোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে তবলিঘি জামাতের উপর দায় চাপানোর মতো বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘(গত বছর) মার্চে নয়াদিল্লিতে তবলিঘি জামাতের একটি সভাকেই প্রাথমিকভাবে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য দায়ী করেছিল সরকার এবং সংবাদমাধ্যম। সেই সভায় অংশগ্রহণকারী ছ'জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সেটꦚা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছিল, দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের অধিকাংশেরই সেই সভার সঙ্গে যোগ আছে।’ রিপোর্টে একেবারে বিজেপির নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে যে কেন্দ্রের শাসক দলের কয়েকজন সদস্য তো বলেছিলেন যে জামাতের সদস্যরা ‘সন্ত্রাসের মতো’ করোনা ছড়িয়েছেন। কয়েকজন রাজনীতিবিদ এবং কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তো সেই ঘটন𝔉াকে ‘করোনা জিহাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। যদিও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আদালতে জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অসংখ্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ‘হামলা রুখতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে’ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের রিপোর্টের প্রসঙ্গ উত্থান করে মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতারা জনসমক্ষে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। গো-হত্যা বা গো-মাংসের কেনাবেচনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সারা বছরই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে🎉র সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়। এরকম গো-রক্ষার নামে হত্যা, হামলা এবং ভয় দেখানো হয়।’
সেইসঙ্গে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন নিয়ে দিল্লিতে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, সে বিষয়টিও মার্কিন রিপোর্টে উঠে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ নিয়ে হামলার জেরে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অধিকাংশই মুসলিম ছিলেন। মুসলিম সমাজꦺকর্মী, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকারকর্মী, প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক এবং সাংবাদিকরা অভিয়োগ করেছিলেন, দিল্লি পুলিশের তদন্তে মুসলিম-বিরোধী মনোভাব ছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মানবাধিকারকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি জানিয়েছে, শাসক দল বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সদস্যরা সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি পুলিশ।’