দীর্ঘ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ভারতের উলটো সুর শোনা গেল চ🥀িনের গলায়। নিজেদের অবস্থান বজায় রেখে ভারত যেখানে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সেখানে বেজিংয়ের অবস্থানে অনড় থেকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, সীমান্ত সংঘাতকে আলাদা রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত দু'দেশের। সেভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার বেজিংয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওয়াং বলেছেন যে 'সীমান্ত নিয়ে মতভেদকে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য সঠি💦ক পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত (ভারত এবং চিনের)।' সেইসঙ্গে ওয়াং দাবি করেন, সার্বিকভাবে দু'দেশই যাতেജ লাভবান হয়, সেজন্য ভারতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত আছে চিন।
যদিও ওয়াঙের সঙ্গে বৈঠকের শুক্রবার জয়শংকর জানান, সীমান্ত সম♍স্যা সমাধানের জন্য আরও পথ অতিক্রম করতে হবে। সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘(সীমান্তে যা) পরিস্থিতি, সেটাকে ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস (কাজ চলছে) পর্যায়ে আছে বলব। যা আশা করা হয়েছিল, তার থেকে অবশ্যই ঢিমেতালে (সেই কাজ) চলছে। আজ ওয়াং ই'য়ের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে সেই প্রক্র൩িয়ায় আরও গতি আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।’ সঙ্গে বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় যে উত্তেজনা আছে, গত দু'বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার প্রভাব পড়েছে। এটা একেবারেই স্বাভাবিক। কারꦕণ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখার উপরই স্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নির্ভর করে। সেই ভিত্তি মজবুত করা এবং বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, তা আটকানোর জন্য অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন চুক্তি আছে।'
তারইমধ্যে বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, দক্ষি𒀰ণ এশিয়ায় ঐতিহ্যগতভাবে ভারতের যে ভূমিকা, তাতে স্বীকৃতি দেয় চিন। ভারত এবং চিনকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সহযোগিতার মঞ্চ প্রস্তুত করার পরামর্শও দেন। ওয়াং দাবি করেন, ভারত এবং চিন একে অপরের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মাত্রা বাড়ায় না। বরং একে অপরকে সুযোগ প্রদান করে। যে সহযোগিতা বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করার বার্তা দিয়েছেন ওয়াং।