তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ সোনা। ২১১ গ্রাম ওজনের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২১.৫৫ টাকা মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল চকোলেট পাওডারের মধ্যে এই সোনা মেশানো ছিল। শুল্ক দফতর এই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক যাত্রী দুবাই থেকে এসেছিলেন। তার ব্যাগ তল্লাশি করতেই মেলে বিপুল সোনা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চকোলেট পাউডারের মধ্যে সোনার গুড়ো মেশানো ছিল। তিনটি কৌটোতে চকোলেট পাউডারের মধ্যে মেশানো ছিল সোনার গুড়ো। ২১১ গ্রাম ২৪ ক্যারাট বিশুদ্ধ সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।এদিকে যাত্রীর চেক ইন লাগেজে ১৭৫ গ্রাম ওজনের একটি সোনার চেইন ছিল। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার দাম ২১.৫৫ লাখ টাকা।সূত্রের খবর, এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ওই যাত্রী দুবাই থেকে এসেছিলেন। চেকিংয়ের সময় তাকে আটকানো হয়। এদিকে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে অভিজ্ঞমহলের মতে, পাচারের ধরনে ক্রমেই বদল আনা হচ্ছে। সুরক্ষা আধিকারিকদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে। অত্যন্ত সুকৌশলে পাচার করা হচ্ছে। তবে আধিকারিকরাও এনিয়ে তৎপর। একাধিক ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। পর্দাফাঁস হচ্ছে পাচারচক্রের। সামনে আসছে পাচারের নিত্যনতুন কায়দার কথা।মনে করা হচ্ছে সুরক্ষা আধিকারিকদের চোখে ধুলে দেওয়ার জন্য এই বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে ধরাও পড়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।এদিন কলকাতা বিমানবন্দরেও বড় পাচারের পর্দাফাঁস করেছে শুল্ক দফতর। ব্যাঙ্ককগামী বিমানে এক ভারতীয় যাত্রী বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার ব্য়াগে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার পেয়েছে শুল্ক দফতর। আর সেটা আবার গুটখার সিল করা প্যাকেটের মধ্যে ভরা ছিল। সেই প্যাকেট ছিঁড়তেই বেরিয়ে এল একের পর এক নোট।এদিকে ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্ক প্রায় ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। সেই বিপুল পরিমাণ ডলার গুটখার প্যাকেটে লুকিয়ে ফেলা হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এভাবে গুটখার প্যাকেটে ডলার পাচারের নজির আগে বিশেষ দেখা যায়নি বলে মনে করছেন অনেকে। ওই বিমানযাত্রীর পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।