সোমবারই কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে যে ফর্টিফায়েড চাল খুবই সুরক্ষিত শরীরের পক্ষে। তিনটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আয়র, ফলিক, ভিটামিন বি ১২ সম্পন্ন ফর্টিফায়েড চাল সরকারি স্কিমের আওতায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এই চাল কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। যা নিয়ে গুঞ্জনও ছিল চরমে। যাবতীয় গুঞ্জনের জবাব দিয়ে সরকার জানিয়েছে এই চাল সুরক্ষিত।শুধু সুরক্ষিতই নয়, ফর্টিফায়েড চাল স্বাস্থ্যকর বলেও জানানো হয়েছে। এই নিয়ে ফর্টিফায়েড রাইস ডিস্ট্রিবিউশনের চতুর্থ পর্ব চলছে সরকারের তরফে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অপুষ্টির সমস্যা কাটাতে দেশের ২৯১ টি জেলায় ১৭.৫ মিলিয়ন টন চাল দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সংক্রান্ত মন্ত্রকের সচিব এস জগন্নাথ জানিয়েছেন, 'ফর্টিফায়েড চাল পুষ্টিকর এবং এর ক্ষতিকারক দিক নিয়ে যে মিথ্যা গুঞ্জন চলছে তা ঠিক হচ্ছে না।' দেশে যাতে অপুষ্টির সমস্যা না থাকে, তার জন্যই সমস্ত সরকারি স্কিমের আওতায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ফর্টিফায়েড চাল সরবরাহের কথা বলা হচ্ছে। ২০২৩ থেকে ২৪ সালের মধ্যে যে ফেজটি রয়েছে, তাতে ৩৫ মিলিয়ন টন ফর্টিফায়েড চাল সরবরাহের উদ্যোগ রয়েছে। এস জগন্নাথ জানিয়েছেন 'এই চাল ক্রিটিনিজম, গলগন্ড, থাইরোটক্সিকোসিস, মস্তিষ্কের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ভ্রূণ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।' উল্লেখ্য, দেশের প্রবল আর্থিক উন্নতির মাঝে একটা বড় অংশের শিশু ও মহিলার মধ্যে অপুষ্টি দেখা যায়। ২০১৬ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে অনুযায়ী, দেশের ৩৮.৪ শতাংশ শিশু বয়সের তুলনায় কম ওজনের। ২১ শতাংশ শিশুর উচ্চতা কম থাকায় বয়সের তুলনায় রয়েছে কম ওজন। উল্লেখ্য, দেশের পিএম পোষণ ও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট স্কিমের আওতায় এই ফর্টিফায়েড চাল সরবরাহ করা হয়।