আট বছরের পুরনো গাড়ির ওপর এবার থেকে গ্রিন ট্যাক্স বসাবে সরকার। ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় সরকার এই অর্থটি নেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের তরফ থেকে এই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। এবার শলা পরামর্শের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের কাছে পাঠানো হবে এই প্রস্তাব। তারপর আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এই খাতে আদায় করা রাজস্ব দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে বলে পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে। মন্ত্রকের প্রস্তাব অনুযায়ী যে আট বছরের বেশি বয়সী গাড়ির ওপর অতিরিক্ত কর দিতে হবে। রোড ট্যাক্সের ১০-২৫ শতাংশ হারে এই সবুজ কর দিতে হবে। ১৫ বছর বাদে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেওয়ার সময়ও গ্রিন ট্যাক্স দিতে হবেে। বাস ইত্যাদি গণপরিবহণের ক্ষেত্রে এই করের হারটি একটু কম হবে। এছা়ড়াও যে সব শহরে দূষণ খুব বেশি, সেখানে রোড ট্যাক্সের ৫০ শতাংশ গ্রিন ট্যাক্স নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও কী জ্বালানি ও কী গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ইলেকট্রনিক কার, হাইব্রিড ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করলে এই আইন থেকে ছাড় মিলবে। এছাড়াও চাষের জন্য ব্যবহৃত ট্র্যাক্টির, টিলার ইত্যাদিকেও এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এই খাতে যা টাকা পাওয়া যাবে সেটা দূষণ নিয়ন্ত্রনের জন্য পৃথক কোষ তৈরি করে ব্যবহার করা হবে। যারা পুরনো গাড়ি পরিবেশ বান্ধব ও বৈজ্ঞানিক প্রকারে স্ক্র্যাপে পাঠিয়ে দেয়, তাদের ক্ষেত্রে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্সে ছাড় মিলবে, বলে প্রস্তাব করা হয়েছে।