রবিবার নীতি আয়োগের পরিচালনা পরিষদের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উত্থাপন করেন। মূল বিষয়গুলি ছিল-ফসলের ন্যূনতম মূল্য (MSP)প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সহায়তাশস্য বিমা এবং জিএসটি-র কারণে রাজস্ব ঘাটতির জন্য রাজ্যগুলিকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের পাঁচ বছরের বর্ধিতকরণ।জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রয়োগবিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কী বললেন?ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জিএসটি-র কারণে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতির কথা তুলে ধরেন করেন।বৈঠকে, ভূপেশ বাঘেল বলেন, জিএসটি ব্যবস্থার কারণে রাজ্যগুলির বিপুল রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। তাঁর কথায়, কেন্দ্র প্রায় ৫,০০০ কোটির রাজস্বের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করেনি। 'এই কারণে জিএসটি-র ক্ষতিপূরণের অনুদান ২০২২ সালের জুনের পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহত রাখা উচিত,' মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতিতে এমনটা বলা হয়েছে।কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও জিএসটি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলির উপর কর আরোপের সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করা দরকার। তিনিও রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ আরও পাঁচ বছরের অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।বিজয়ন বলেন, কেন্দ্রের সংবিধানের ফেডারেল কাঠামোর বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত নয়। আইন লাগুর আগে রাজ্যগুলির সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধানের রাজ্য তালিকায় থাকা বিষয়গুলিতে আইন প্রণয়ন করা থেকে বিরত থাকা, বলেন তিনি।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়(NEP)।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে 'বৃহত্তর সমন্বয়' গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেন্দ্রের রাজ্য সরকারের দাবিগুলিকে 'আরও গুরুত্ব সহকারে' দেখা উচিত। তাদের কোনও নীতি প্রয়োগে বাধ্য করা উচিত নয়। রাজ্য সরকারগুলিকে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়নের জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়, বলেন তিনি।গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, তাঁর সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এনইপি মেনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ সিলেবাস পরিবর্তন করবে।পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ফসলের MSP-র জন্য আইনি গ্যারান্টি দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন। আম আদমি পার্টি (AAP) নেতা, ফসলের জন্য একটি নির্ভুল বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, কেন্দ্রকে আহ্বান জানিয়েছেন।ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক অভিযোগ তোলেন, তাঁদের রাজ্য ধারাবাহিকভাবে টেলিকম, রেলওয়ে এবং ব্যাঙ্কিংয়ের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অবহেলিত হয়েছে। সেই সেক্টরগুলিতে কেন্দ্রের নিবিড় দৃষ্টির অনুরোধ করেন তিনি।উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের (৮০ লক্ষ কোটি টাকা) অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য তাঁর সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, NITI আয়োগের হিমালয়ের রাজ্যর বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের একটি সুষ্ঠ মডেল তৈরি করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হিমালয়ের রাজ্যগুলির জন্য একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা দরকার, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন তিনি।এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, গত কয়েক বছরে নিজ নিজ সরকারের কাজের বিষয়ে আলোচনা করেন।