টিকিট কাটা ছিল শুধু স্ত্রীর। তিনি গুজরাটের ভদোদরা থেকে যাচ্ছিলেন মুম্বইতে। সময়মতো তাঁ🃏কে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে, ট্রেনে তুলতে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। আর চারপাঁচজন স্বামীর মতোই তিনিও স্ত্রীয়ের খেয়াল রেখে, তাঁকে ট্রেনে উঠিয়ে দিতে যান। এপর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তবে, এরপর যা ঘটল, তাতে ট্রেনের কামরায় স্ত্রীর সঙ্গে 'আটকে' পড়লেন স্বামীও! এদিকে, হর্ন বাজিয়ে স্টেশন ছেড়ে দৌড়তে শুরু করল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ঘ♏টনা গুজরাটের। ঘটনার সবিস্তারে বর্ণনা দিয়ে কোশা নামের জনৈক মহিলা একটি পোস্ট করেন। কোশার বাবা মায়ের সঙ্গেই ঘটেছে এই ঘটনা। ভদোদরা স্টেশনে গাড়ি রেখে, কোশার বাবা, তাঁর মাকে ট্রেনে তুলতে গিয়েছিলেন। মায়ের সঙ্গে ছিল বেশ কিছু মালপত্র। তিনি একা, তা ট্রেনে তুলতে পারবেন না দেখে, কোশার বাবা সেগুলি ট্রেনের কামরায় তুলে দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। ফলে ট্রেনের ভিতরে উঠতে হয়েছিল কোশার বাবাকে। এমন ছবি ভারতের বিভিন্ন রেলস্টেশনেই দেখা যায়। যেখানে স্ত্রীকে স্বামীরা আগলে রেখে, স্ত্রীয়ের একক সফরে তাঁর মালপত্র ট্রেনে তুলে দেন স্বামী। এখানেও তাই ঘটেছিল। শেষে কোশার বাবা সব কিছু ট্রেনে গুছিয়ে দি🔯য়ে ট্রেন থেকে নামতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই আচমকা লক হয়ে যায় ট্রেনের দরজা। কিছুতেই খোলা যায়নি। এদিকে, ততক্ষণে ট্রেন চলতে শুরু করে দেয়। বলে রাখা হয়নি যে, এই ট্রেনটি ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ভদোদরা-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ফলত, গতির নিরিখে এই ট্রেনের ধারে কাছে কেউ নেই।
স্টেশন ছাড়তেই ট্রেন তীর বেগে দৌড়য়! অগত্যা কোশার বাবা ও মা একসঙ্গে বন্দে ভারতে সফর করেন। পরের স্টেশন সুরাট আসতেই ট্রেন থেকে নেমে যান কোশার বাবা। বাকি সফরটা কোশার মা একই করেছেন। কোশার বাবা এই ঘটনাকে ‘প্রিমিয়াম জার্নি’ বলে মজা করেছেন। মেয়েকে সেকথা জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপও করেছিলেন। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন কোꦓশা।
(Vistara:‘ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়’, ভিস্তা🅰রার পাইলটদের পাশে দাঁড়িয়ে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানকে চিঠি এয়ার ইন্ডিয়ার সতীর্থদের )