জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গ এলাকায়’ নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে🥃। মঙ্গলবার বারাণসীর জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্𝓀রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে নমাজের জন্য মুসলিমদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ১৯ মে ফের সেই মামলার শুনানি হবে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কো✨র্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, আদ🤡ালত নিযুক্ত কমিশনারের সমীক্ষার সময় মসজিদ চত্বর থেকে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, বারাণসীর জেলাশাসককে সেই এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তবে তাতে যেন মুসলিমদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা তৈরি না হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নꦆমাজ বা ওজুর মতো ধর্মীয় রীতি পালনের জন্য 🦩মুসলিমদের প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে মাত্র ২০ জন নমাজ পড়তে পারবে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালতে বিচারক, তা কার্যকর হবে। তবে সার্বিকভাবে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা দায়ের করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। বারাণসীর একটি সিভিল কোর্ট কমিশনার নিয়োগ করে জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা চালানো এবং ভিডিয়োগ্রাফি করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে কমিশনার সমীক্ষা চালিয়েছেন। তবে এখনও আদালতে রিপোর্ট জমা দেননি। তারইমধ্যে হিন্দুপক্ষের হরিশংকর জৈন দাবি করেন যে সমীক্ষার সময় একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে সোমবার একটি মসজিদের একটি জায়গা সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্থানীয় আদালত। যদিও মসজিদ কমিটꦆির তরফে দাবি করা হয়, শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির আইনজীবী রইস আহমেদ আনসারি সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কাজ করছে না বারাণসীর সিভিল কোর্ট। এখনও পর্যন্ত যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাতে স্থগিতাদেশের আর্জি জানান আনসারি। পালটা উ💝ত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী তথা তুষার মেহতা পালটা সওয়াল করেন, ওজুখানায় হাত-পা ধোয়া হয়। প্রার্থনার জন্য আলাদা কক্ষ আছে। ম্যাজিস্ট্রেট যজি মনে করেন, মামলাটির বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে, তাহলে নিশ্চয়ই সেক্ষেত্রে অসুবিধা আছে।
সেই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ𝓀্ন করে, 'শিবলিঙ্গ কোথায় আছে? ম্যাজিস্ট্রেটও সেটা দেখেননি।' তাতে সলিসিটর জেনারেল বলেন, 'কেউ যদি শিবলিঙ্গ গুঁড়িয়ে দেয়?' ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিক্রিয়া দেয়, 'আমরা জেলাশাসককে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলব।'