হামাসের প্রধানের তখতে থাকা পর পর দুজনকে ইতিমধ্যেই হত্যা🥂 করেছে ইজরায়েল। প্রথমে ইসমাইল হানিয়ে, পরে সদ্য হামাসের ইয়াহা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা। এরপর প্রশ্ন ছিল কে হতে পারে হামাসের পরবর্তী প্রধান? রিপোর্টের দাবি, হামাস তার পরবর্তী প্রধান হিসাবে খালেদ মশালের নাম ঘোষণা করেছে।
হানিয়ের হত্যার পর থেকেই বহুবার হামাসের প্রধান হিসাবে খালেদের নাম ঘুরপাক খেয়েছে জল্পনার আসরে। তবে হানিয়ের পর হামাসের প্রধান হিসাবে উঠে আসেন ইয়াহা সিনওয়ার। যাকে সদ্য গাজায় হত্যা করেছে ইজরায়েল। সিনওয়ারের শেষ মুহূর্তের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থ🍸েকে সে তার দিকে ধেয়ে আস❀া হামলাকারীদের উদ্দেশে লাঠি ছুড়ছে। এদিকে, হামাসের তরফেও সিনওয়ারের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাস একইসঙ্গে জানিয়েছে, ইজরায়েলের পণবন্দিদেরও কিছুতেই ছাড়া হবে না, যতক্ষণ না গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে, আর যে প্যালেস্তিনীয়দের ইজরায়েলের জেলে রাখা হয়েছে, তাদের ছাড়া হচ্ছে। হামাসের তরফে খালিল আল হায়া একথা জানিয়েছে।
কে খালেদ মশাল?
এদিকে, বহু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, খালেদ মশালকে হামাসের নতুন প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কে এই খালেদ মশাল? ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হিসাবে ছিলে এখ খালেদ। পরে এই পদে আসে হানিয়া। তবে হানিয়ার ম-ত্যুর পর মনে করা হচ্ছিল হামাসের প্রধান হতে পারে খালেদ। তবে স্ট্র্যাটেজি পাল্টে ইজꦆরালেয়ের সবচেয়ে বড় শত্রু ꦍসিনওয়ারকে হামাস প্রধানের কুর্সি দেয়। কার্যত গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই সিনওয়ার। যাকে সদ্য ইজরায়েলের সেনা অপারেশনে নিকেশ করেছে নেতানিয়াহুর দেশ।
এদিকে, খালেদ মশাল ১৫ বছর বয়স থেকেই বিদ্রোহের আঙিনায় পা রাখে। ১৫ বছর বয়সে সে মুসিলম ব্রাদারহুডে যোগ দেয়। ১৯৫৬ সালে রামাল্লায় জন্মানো এই খালেদ, হামাসের জন্মলগ্ন থেকে সংগঠনে রয়েছে। ১৯৯৬ সালে মশালকে যখন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান বানানো হয়েছিল, তখন থ𓆏েকেই তাকে হত্যার চেষ্টায় জাল বোনে ইজরায়েল। ইজরায়েলের গুপ্তচর বিভাগ বহু চেষ্টার পরও নিকেশ করতে পারেনি খালেদকে। একটা সময় জর্ডনে থাকাকালীন মশালকে বিষের ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন এক ইজরায়েলি গুপ্তচর। তারপর সেই গুপ্তচর জর্ডন থেকে আর পালিয়ে যেতে পারেনি। এদিকে, খালেদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর সেই বিষের অ্যান্টিডোট দিয়ে খালেদকে বাঁচিয়ে তুলতে বড় পদক্ষেপ করে জর্ডন। এটি ঘিরে জর্ডন ও ইজরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্কও প্রভাবিত হয়। ততক্ষণে কোমায় চলে যাওয়া খালেদ ফের সুস্থ হতে থাকে। সেই থেকেই খালেদ মশালকে ‘জীবন্ত শহিদ’ বলে থাকেন অনেকে।