চারিদিকে ধ্বং🉐সস্তূপ। বাড়ির মধ্যে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে আছে। সেইসবের মধ্যে ধুলো মেখে সোফায় বসে ধুঁকছে একজন। কাপড় দিয়ে পুর♕ো মুখ ঢাকা। দেখে মনে হচ্ছে যে শরীরে একফোঁটাও শক্তি বেঁচে নেই। একাধিক চোট লেগেছে। সম্ভবত ডান হাতেও লেগেছে আঘাত। তাও বাঁ-হাত দিয়ে একটা লাঠি মতো কিছু ছুড়ে দিল ক্যামেরার দিকে। তাতে কোনও লাভ হল না। আর তার কিছুক্ষণ পরেই সবকিছু অন্ধকার।
সিনওয়ারের শেষমুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল
জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহা সিনওয়ারকে খতম করার আগে তাঁদের ড্রোন ক্যামেরা♈য় এমনই দৃ✨শ্য ধরা পড়েছে বলে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে (ইংরেজি মতে শুক্রবার) রাত ১ টা ৪৯ মিনিটে সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করেন ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র। ইতিমধ্যে সেই ভিডিয়োর ‘ভিউ’-র সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ছুঁয়ে ফেলেছে।
আর ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জ🃏ানিয়েছেন, ড্রোনে ওই দৃশ্য ধরা পড়ার পরে সেই বাড়িতে বাড়তি শেল ছোড়া হয়। তার জেরে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। নিকেশ করে দেওয়া হয় সিনওয়ারকে। তার কাছে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, গ্রেনেড এবং ৪০,০০০ শেকেলস (১০,৭০৭ ডলার) ছিল।
ধ্বসংসস্তূপের মধ্যে ঢুকে সিনওয়ারের দেহ
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনওয়ারের মতো দেখতে একজনের মৃতদেহের ছবি ভাইরাল হয়ে গি𒅌য়েছে। সামরিক বাহিনীর ভেস্ট পরে আছে সেই ব্যক্তি। ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকে আছে দেহের অর্ধেক অংশ। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ঘটনাস্থলে সেই ছবি তুলেছেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বেশি কিছু বলতে চাননি। গোপন রেখেছেন নিজেদের নামও। কারণ তদন্ত চলছে।
কিন্তু কীভাবে বোঝা গেল যে ওটা হামাস প্রধানেরই দেহ?
ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই অপারেশনে মোট তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে. তাদের মধ্যে একজন সিনওয়ার বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁতের নমুনা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল। তাতেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে হামাস প্রধানকেই খতম করে দেওয়া হয়েছে।🦂
আর ইজরায়ꦗেলের কাছে সিনওয়ারের মেডিক্যাল নমুনার অভাব ছিল না। কারণ ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইজরায়েলের জেলে বন্দী ছিল। আর সেইসময় ব্রেন ক্যানসারের জন্য তার চিকিৎসা হয়েছিল। ফলে ইজরায়েলের হাতে সিনওয়ারের প্রচুর মেডিক্যাল তথ্য ছিল। সেটাই কাজে লেꦯগেছে ডিএনএ পরীক্ষার সময়।