ভারতের বাজারে তিন লাখি হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেল লঞ্চ হতেই ধস নামল রয়্যাল এনফিল্ডের শেয়ারে। সোমবার ভারতে লঞ্চ হয়েছে হার্লে ডেভিডসন এক্স ৪৪০। রয়্যাল এনফিল্ডকে টক্কর দিতে মোটরসাইকেলটির দাম রাখা হয়েছে ২.২৯ লক্ষ টাকা এক্স শো রুম। তারಌ পরদিন সকালে শেয়ার বাজার খুলতেই ৬ শতাংস পড়ে গেল রয়্যাল এনফিল্ডের নির্মাতা সংস্থা আইশার মোটরসের শেয়ারের দাম।
দেশে ট্যুরিং ও রেট্রো ক্লাসিক মোটরসাইকেলের চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। সেই বাজারের এখনো বেতাজ বাদশা রয়্যাল এনফিল্ড। কিন্তু প্রিমিয়াম সেগমেন্টের এই বাজারে নিজেদের আবস্থান শক্তপোক্ত করতে চেষ্টার কসুর করছে❀ না বাকি মোটরসাইকেল নির্মাতারাও। বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চোখ ধাঁধানো সব মোটরসাইকেল লঞ্চ করে চলেছে তারা। সোমবার ভারতে লঞ্চ হয়েছে হার্লে ডেভিডসন এক্স ৪৪০। হিরো মোটোকর্পের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলটির গড়নে হার্লে ডেভিডসনের নির্মাণশৈলির ছাপ স্পষ্ট। ৪৪০ সিসি সিঙ্গল সিলিন্ডার ইন্জিন চালিত এই মোটরসাইকেলের পারফর্ম্যান্সের ব্যাপারে যদিও এখনো জানা যায়নি। তবে মোটরসাইকেলটি বেশ মনে ধরেছে দু’চাকা প্রেমীদের। তার থেকেও মনে ধরেছে তার দাম।
দিল্লিতে ২.২৯ লক্ষ টাকা এক্স শো রুম দামে পাওয়া যাবে এই মোটরসাইকেল। অর্থাৎ অন রোড দাম দাঁড়াতে পারে ৩ লক্ষ টাকার আসেপাশে। যা রয়্যাল এনফিল্ডের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তার ওপরে বুধবার ট্রায়াম্ফ মোটরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একই সেগমেন্টে মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে চলে༺ছে বাজাজ। যার ফলে রয়্যাল এনফিল্ডের ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে এই সেগমেন্টে RE-র একমাত্র প্রতিদ্বন্দী হোন্ডা। এছাড়া বেনেলিসহ বাকি কয়েকটি সংস্থার এই সেগমেন্টের মোটরসাইকেল বাজারে পাওয়া গেলেও তার জনপ্রিয়তা খুবই কম।
সোমবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় আইশার মোটরসের একটি শেয়ারের দাম ছিল ৩,৬৩০.৮৫ টাকা। মঙ্গলবার সকালে তার দাম হয় ৩,৫৫৫.০৫ টাকা। তার পর থেকে ধারাবাহিক পত হতে থাকে আইশার মোটরসের শেয়ারের দামে। প্রতিবেদন লেখার সময় যা সোমবারের🧜 থেকে ৬ শতাংশের থেকে বেশি পড়ে দাঁড়ায় ৩,৪০৪.২৫ টাকায়।