ব্যাঙ্ক কর্মীর প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি থেকে বকেয়া ঋণের টাকা কাটা যাবে না। কানাড়া ব্যাঙ্কের একটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ করল কর্🎃ণাটক হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে আপিল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গ্র্যাচুইটি থেকে এক কর্মীর বকেয়া ঋণের টাকা কাটা বন্ধ করতে হয়েছিল কানাড়া ব্যাঙ্ককে। সেই🃏 প্রেক্ষিতে মামলা করে কানাড়া ব্যাঙ্ক। আর ব্যাঙ্কের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সুরজ গোবিন্দরাজের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, গ্র্যাচুইটির টাকা থেকে বকেয়া ঋণের টাকা কাটা যায় না।
উ🎶চ্চ আদালত বলে, ‘ঋণের চুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে গৃহ ঋণ। উল্লিখিত চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ করার সমস্ত অধিকার রয়েছে ব্যাঙ্কের। এদিকে পেমেন্ট গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট, ১৯৭২-এর ৭ নং ধারার অধীনে গ্র্যাচুইটির বিষয়টি সুরক্ষিত। এর কারণে ব্যাঙ্ক গ্র্যাচুইটি থেকে ঋণের অর্থ কাটতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, 🔯ডি শ্রীমান্থা নামক এক ব্যক্তি ১৯৭৫ সালে কানাড়া ব্যাঙ্কে পিওন পদে চাকরি শুরু করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে ক্লার্ক পদে তাঁর পদোন্নতি হয়। এই সময়কালে তিনি ব্যাঙ্কের থেকে গৃহঋণ নেন। সেই ঋণের সুদ সময়ে সময়ে তিনি চুকিয়ে দিচ্ছিলেন। ২০০৫ সালে শ্রীমান্থার বিরুদ্ধে বাজে আচরণের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৬ সালে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এরপর শ্রীমান্থা তাঁর গ্র্যাচুইটির টাকা চাইলে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ব্যাঙ্ক।
এরপর শ্রীমান্থা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। তখন কর্তৃপক্ষ বকেয়া ঋণের বিষয়টি উত্থাপিত করে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। তবে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে শ্রীমান্থার আর্জি গৃহীত হয়। ব্যাঙ্ককে সুদ সমেত শ্রীমান্থার গ্র্যাচুইটির টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ๊ হয় কানাড়া ব্যাঙ্ক। জানা গিয়েছে, শ্রীমান্থার গ্র্যাচুইটির টাকা থেকে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪২০ টাকা ২৪ পয়সা গৃহঋণ বাবদ কেটেছিল ব্যাঙ্ক।