💦 তাঁকে ভারতের হাতে কিছুতেই তুলে দেওয়া চলবে না! এই দাবি জানিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানা। আদতে পাকিস্তানের মানুষ হলেও কানাডার নাগরিক এই ব্যক্তি যেকোনও মূল্যে ভারতের হাতে তাঁর প্রত্যর্পণ রুখতে চাইছেন।
𝓡তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, ভারতে আসা আটকাতে এটাই রানার শেষ প্রচেষ্টা। কারণ, ইতিমধ্যেই মার্কিন নিম্ন আদালত ও ফেডারেল কোর্টগুলিতে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে ইউএস কোর্ট অফ অ্যাপিলস ফর দ্য নাইনথ সার্কিট-ও রয়েছে।
🅷আমেরিকার এই সবক'টি আদালতই এই মামলায় গত ২৩ সেপ্টেম্বরের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে।
🔯এক্ষেত্রে ভারত সরকারের বক্তব্য খুব সোজাসাপটা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর যে মুম্বই হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল, সেই হামলার অন্যতম চক্রী হলেন এই রানা। তাই, তাঁকে ভারতীয় আইনের আওতায় এনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এর জন্য অভিযুক্তকে ভারত সরকারের হাতে তুলে দিতে হবে।
🐈উল্লেখ্য, বহু আগেই গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে আসে, পাকিস্তানি-মার্কিন জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে চক্রান্ত করে মুম্বই হামলা ঘটিয়ে ছিলেন তাহাউর রানা। তাঁর বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তৈবার হামলাকারীদের সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে। যারা সেদিন মুম্বইয়ে হত্যালীলা চালিয়েছিল।
🦩কিন্তু, রানার যুক্তি হল - এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আমেরিকার শিকাগোর একটি ফেডারেল কোর্ট তাঁকে খালাস করে দিয়েছে। এরপরও যদি তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে তা হবে দ্বৈত-ঝুঁকি সংক্রান্ত নীতির বিরুদ্ধাচরণ।
ওএমনকী, এই ঘটনায় ভারতীয় আদালতে রানা যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হতে পারে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে সেই আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
𒊎রানার যুক্তি, যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই একবার আইনি প্রক্রিয়া এবং আদালতের শুনানির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি এবং যে ঘটনায় আমেরিকার একটি আদালত তাঁকে ইতিমধ্যেই খালাস করে দিয়েছে, সেই একই ঘটনায় ভারতে ফের তাঁর বিরুদ্ধে কেন শুনানি করা হবে?
꧋এই ঘটনা আন্তর্জাতিকস্তরে বিস্তৃত অপরাধ সংক্রান্ত আইন এবং প্রত্যর্পণের নীতির বিরোধী বলেও নিজের আবেদনে উল্লেখ করেছেন রানা।
ꦯপ্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণ আটকাতে আগেও প্রায় একই যুক্তি দেখিয়েছিলেন রানা। সেই সময়েও তিনি বলেছিলেন, মুম্বই হামলার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে আমেরিকার নিম্ন আদালতেই মামলা করা হয়েছে এবং সেই মামলা লড়ে তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাই, তাঁকে যেন ভারতের হাতে তুলে না দেওয়া হয়।