༺ ২০১১ সালে রাজপাট গিয়েছে। তারপর থেকে ক্রমেই শূন্যের দিকে এগিয়েছে সিপিএম। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে তা পুরোপুরি শূন্য হয়ে গিয়েছে। যা আজ পর্যন্ত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পুরসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, সমবায় নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন—শূন্যতা কাটিয়ে ওঠা যায়নি। বরং কোনওরকমে লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মাত্র দু’টি আসনে জামানত রক্ষা করতে পেরেছে সিপিএম। তখন থেকেই দলের অন্দরে আওয়াজ উঠছে, শূন্যতা কাটাতে পিকে চাই। অর্থাৎ পরিস্থিতি এমন যে এবার ভোটকুশলীর উপর নির্ভর হতে হচ্ছে এই শূন্যতা কাটাতে। আজ, শুক্রবার ভোটকুশলী বিজ্ঞাপনই দিয়ে ফেলল সিপিএম।
🌠দলের অন্দরে দাবি এতটা জোরাল ওঠে যে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ফেসবুকে ‘লোক খুঁজছি’ মর্মে একটি পোস্ট করেন। তাতে অনেকগুলি পদে অভিজ্ঞতা আছে এমন লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। প্রথম পদটি, রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। যিনি রাজনৈতিক পরামর্শ দেবেন। যেটা প্রশান্ত কিশোর করে থাকেন। কিন্তু সিপিএম সরাসরি পিকের মতো পেশাদারকে নিয়োগ করার কথা স্বীকার করেনি। মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘এতদিন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সিপিএম ডিজিটাল দেখেছেন। এবার সিপিএম প্রফেশনাল দেখবেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই কিছু বিষয় নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। তাই কাজ শুরু করে দিলাম।’
আরও পড়ুন: বড়দিনের প্রাক্কালে দিঘার খোলনলচে পাল্টে যাচ্ছে, ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়ন
যে সিপিএমের গায়ে তকমা সেঁটে আছে রাজ্যে কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি বলে সেই সিপিএম রাজনৈতিক পরামর্শদাতা খুঁজছে। আবার ডিজিটাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে চাইছে! মানুষ বিশ্বাস করবে তো? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে গণজ্ঞাপনে অভিজ্ঞ লেখার লোক, গ্রাফিক ডিজাইনার, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক্সিকিউটিভ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।♉ আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে ‘শূন্যের গেরো’ কাটাতে সবরকম চেষ্টা তারা শুরু করে দিল।
ܫইতিমধ্যেই নানারকমের জোট করেছে সিপিএম। তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে এসেছে। ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে পথে নেমেছে। রেড ভলান্টিয়ার্স নামিয়েছে। রান্না করা খাবার বিলিয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে। তারপরও শূন্যতা কাটেনি। কারণ এই সিপিএম নেতারা মানুষের দুয়ারে গিয়ে ভুল স্বীকার করেননি। জনসংযোগ গড়ে তোলেননি। জনমত নেননি। এখন নতুন পথে হাঁটতে চাইছে সিপিএম। রাত পোহালেই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। আর তখনই বোঝা যাবে সিপিএম একাধিক দলের সঙ্গে জোট করে সফল হল কিনা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, শূন্যের নীচে তো কোনও সংখ্যা হয় না। চেষ্টা করতে দোষ কি!