বিহারে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছিল। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর আগে নীতীশ যখন আরজেডির সঙ্গে ছিলেন, তখন ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার বিল পাশ করানো হয়েছিল বিহার বিধানসভায়। তবে আজ পটনা হাই কোর্টে সেই সংরক্ষণ বাতিল করে দেওয়া হল। এর জেরে নীতীশ কুমার বড় ধাক্কা খেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিহারে তফসিলি, আদিবাসী এবং ওবিসিদের জন্য রাজ্য সরকারের নয়া সংরক্ষণ কোটা বাতিল করে পটনা হাই কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, সংরক্ষণের কোটা ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না বলে আগেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। (আরও পড়ুন: এবার সামনে এল♌ বিস্ফোরক ত🌃থ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়)
আরও পড়ুন: পরীক্ষ🍨ার 🅰আগে… NEET প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: চিনকে হারি💃য়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট আদানি পোর্টসের মাথায়! ইতিহ🦩াস ভারতীয় সংস্থার
আরও পড়ুন: সবুরে মেওয়া ফলে, ডিএ-বেতন নিয়ে বড় ঘোষণা করত🐠ে ꦗপারেন CM, জানালেন সরকারি কর্মীরাই
এর আগে বিহারে জাতিভিত্তিক জনণনা করার পরে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল সেই রাজ্যের বিধানসভায়। কারণ এর আগে জাতি গণনায় জানা গিয়েছিল, বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যের ৬৫ শতাংশ মানুষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছেন। এই আবহে রাজ্যের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য দূর করতে আরও অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ আনা হয়েছিল সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে। অবশ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া সেই সংরক্ষণ বিলকে বাতিল করে দিল উচ্চ আদালত। এর আগে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে গত মার্চ মাসে রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাই কোর্ট। এরপর লোকসভা ভোটে জেডিইউ ভালো ফল করে বিহারে। এমনকী উত্তরপ্রদেশ, বাংলার মতো রাজ্যে জোর ধাক্কা খাওয়া বিজেপিও নীতীশের সঙ্গতে ভালো ফল করে বিহারে। এই ফলের নেপথ্যে এই সংরক্ষণ নীতির বড় ভূমিকা ছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। এই আবহে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে নীতীশের সেই সংরক্ষণ নীতি আদালতের রায়ে বাতিল হওয়ায় শাসকগোষ্ঠীর মাথায় হাত পড়তে পারে। (আরও পড়ুন: চালান ছোট্ট মুদি দোকান, আচমকা হাতে এল ১২ 🍰কোটির IT নোটিশ! চলছে নয়া জালিয়াতি)
আরও পড়ুন: নিজ্জরকাণ্ডে নীরবতা পালন কানাডা সংসদে, জবাবে ৮৫'꧂র খলিস্তানি হামলা মনে করাল ভারত
আরও পড়ুন: কর্মীদের ৮ဣ লাখ পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে ভারতের 🎃এই IT সংস্থা, তবে আছে শর্ত
উল্লেখ্য, বিহার সরকার গত নভেম্বরে ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ বৃদ্ধির ফলে সেই রাজ্যো মোট সংরক্ষণ ৭৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। ৬৫ শতাংশ জাতিগত সংরক্ষণের পাশাপাশি জেনারেল ক্যাটাগরিতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণও বহাল ছিল। এই আবহে সংরক্ষণ সংক্রান্ত নোটিশ জারির পরই পটনা হাই কোর্টে এই নির্দেশিকার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জাবিয়ে ১০টি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। পটনা হ💧াই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস কে বিনোদ চন্দ্রন এবং জাস্টিস হরিষ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানি শেষ হয় গত মার্চ মাসে। আর আজ সেই মামলার রায়দান করে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিহার সরকারের কার্যকর করা সংরক্ষণ নীতি অসাংবিধানিক।