‘পোশাকের অধিকারের মধ্যে পোশাক খোলার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত হবে?’ হিজাব পরার পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবীকে এমনই প্রশ্ন করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্চত গুপ্তা। প্রসঙ্গত, বুধবার হিজাব মামলার শুনানি চলাকালীন হিজাবের পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবী দেবদত্ত কামাত যুক্তি দেন, ‘অনেক সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা রুদ্রাক্ষের মালা বা ক্রস পরেন। তাহলে হিজাবে আপত্তি থ𓂃াকবে কেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম বিচারপতি পালটা বলেন, ‘এখানে সমস্যা হল যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় হিজাব পরার উপর জোর দিচ্ছে। অন্য সমস্ত সম্প্রদায় ড্রেসকোড অনুসরণ করছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা বলছে না আমরা এটা পরব বা ওটা পরতে চাই।’ বিচারপতি এরপর রুদ্রাক্ষ এবং ক্রস প্রসঙ্গে বলেন, ‘এগুলি শার্টের ভেতরে থাকে। কেউ তো আর শার্ট খুলে দেখতে যাচ্ছে না। নাকি এবার পোশাক পরার অধিকারের মধ্যেই পোশাক খোলার অধিকার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে?’
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ এর আগে সোমবার এই মামলার একটি মূল বিষয় তুলে ধরে বলেছিল, ‘আপনি যদি কোনও রীতি মানতে চান বা অ❀নুশীলন করতে চান, তাহলে তা অনুশীলন করার ধর্মীয় অধিকার আপনার থাকতেই পারে। তবে আপনি কী অনুশীলন করতে পারেন এবং সেই সংক্রান্ত অধিকার স্কুলেও প্রযোজ্য হয় কি? ইউনিফর্ম মেনেই আপনাকে পোশাক পরতে হবে কি না, এটাই এখানে প্রশ্ন। এখানে ইস্যুটি একটু ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে। এটি (হিজাব পরা) অপরিহার্য হতেও পারে, আবার এটি অপরিহার্য নাও হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ‘ইচ💧্ছে হলে স্কুলে মিনিস্কার্ট পরে যাবেন?’ হিজাব মামলায় প্রশ্ন সুপ্র🌜িম কোর্টের
সুপ্রিম কো𓂃র্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা বলতে চাইছি, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনি আপনার ধর্মীয় অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর খাটাতে পারেন কি না, সেটাই প্রশ্ন। কারণ ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚআমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।’ সুপ্রিম কোর্টের তরফে আরও বলা হয়েছিল, ‘আপনারা যুক্তি দিতেই পারেন যে স্কুলে পোশাকবিধি চালু করা যায় না। তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়ার ইচ্ছে হলে সে মিনিস্কার্ট পরে স্কুলে চলে যেতে পারবে?’
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া শুনানি চলাকালীন বলেছিলেন, ‘ক🅺ারও অধিকার হরণের কথা বলাই হচ্ছে না। শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। শুধু ইউনিফর্ম পরে আসতে বলা হচ্ছে।’ এদিকে বেঞ্চের অপর বিচꦫারপতি হেমন্ত গুপ্ত বলেন, ‘যদি ধরে নেওয়া যায় যে স্কুলে হিজাব, স্কার্ফ বা নিজের পছন্দের অন্য যে কোনও কিছু পরে যাওয়া যাবে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেখানে স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে কীভাবে হিজাব পরা যায়?’