আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে সস্তায় করোনা টিকা আসবে, এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিলেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। HT Leadership Summit 2020-তে যোগদান করে হিন্দুস্তান টাইমসকে এই কথা জানান তিনি। আদর পুনাওয়ালা বলেন যে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই ভ্যাকসিন হাতে পাবেন সাধারণ মানুষ। তবে প্রাথমিক ভাবে ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ও অন্যান্যরা যাদের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার মানে যারা সামনে থেকে কাজ করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তাদের জন্য জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তুত করা টিকা নিয়ে আসছে সেরাম। দাম ধার্য করা হবে ৫০০-৬০০ টাকা ডোজ পিছু। শুধু ভারতে নয় বাইরেও টিকা পাঠাবে সেরাম। তবে দেশের মানুষের কোনও কমতি হবে না করোনা টিকার, সেই বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করেন। আপাতত বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশের সঙ্গে পাকা কথা হয়নি বলেও তিনি জানান। তবে যা টিকা তৈরি করা হবে, তার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভারতীয়দের জন্যে বরাদ্দ করা হবে বলে জানান সেরাম কর্তা।তিনি বলেন যে ১০ কোটি ডোজ তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৈরি করতে চান ও ৩০-৪০ কোটি ডোজ পরের বছরের প্রথম তিন মাসে প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে তাঁর আশা। আরো দুটি প্লান্ট তারা যুক্ত করছেন যাতে উৎপাদনের কাজে গতি আসে বলে জানান আদর পুনাওয়ালা। সেরাম কর্তা জানান যে ৫০০-৬০০ টাকা দাম হবে করোনা টিকার। মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টরও এগিয়ে আসবে, এই আশা করেন আদর পুনাওয়ালা। তিনি জানান যে আশার কথা হল শিশুরা সেভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে না। খুব সম্ভবত শিশুদের সবচেয়ে পরে এই টিকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। সবমিলিয়ে সারা দেশের সবাইকে করোনা টিকা দিতে দিতে ২০২৪ গড়িয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস করেন আদর পুনাওয়ালা। অক্সফোর্ড করোনা টিকার সম্ভাব্য সাইড এফেক্টস প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে কারও কারও মাথা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, দুর্বলতা হচ্ছে। কিন্তু সেটাও প্যারাসিটামল খেলে দিন দুইয়ের মধ্যে সেরে যাচ্ছে।