আজ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে 'কি নোট' বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই হিন্দুস্তান টাইমসের এই দীর্ঘ যাত্রায় নিজের সঙ্গে গান্ধীজিকে মেলালেন মোদী। সঙ্গে ভারতের ইতিহাসে হিন্দুস্তান টাইমসের যাত্রার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। আজ হিন্দুস্তান টাইমসের সম্মেলন মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, '১০০ বছর আগে হিন্দুস্তান টাইমসের উদ্বোধন করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি একজন গুজরাটিভাষী ছিলেন। আর ১০০ বছর পর আপনারা ফের এক গুজরাটিকে ডেকে নিয়ে এসেছেন। ১০০ বছরের যাত্রী অনেক লম্বা হয়। এই যাত্রার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন।' (আরও পড়ুন: আগে ভোট ব𒆙্যাঙ🔯্কের রাজনীতি হত… বোর্ড লেগে যেত, তবে উন্নয়ন দেখা যেত না: PM মোদী)
আরও পড়ুন: ক্লডিয়াস-নীরজদেরꩵ ভুলে বসলেন মমতা? বললেন, 'ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি'
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে নানকানা সাহিবে যাওয়ার পথে 💙নৃশংস ভাবে খুন হিন্দু তীর্থযাত্রী!
এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এখানে বাইরেই একটি প্রদর্শনী হচ্ছে। সেখানেই আমি বিভিন্ন রিপোর্ট দেখেছি। স্বাধীনতা থেকে সংবিধান কার্যকর করার রিপোর্ট সেখানে আছে। হিন্দুস্তান টাইমসে মার্টিন লুথার কিং থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ীরা এই সংবাদপত্রের জন্যে লিখেছেন। সেই প্রদর্শনীতেই দেখলাম একটি রিপোর্টে লেখা - অসমকে অশান্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। তাই থেকে মনে এল, গতকালই আমি দিল্লিতে বোড়ো তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সয় কাটালাম। আমি অবাক দিল্লির মিডিয়া সেটা কভার করেনি। ৫ দশক পরে তারা অস্ত্র ছেড়ে দিল্লির বুকে বোড়ো সংস্কৃতি চর্চা করছে। আমি তা হৃদয় থেকে অনুভব করেছি।' (আরও পড়ুন: অবশেষে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কর্মীদের ডিএ বাড়াল রাজ্য, তবে হাতে আসবে না বౠকেয়া)
আরও পড়ুন: মাথায় আদানির বকেয়ার বোঝা♊, ভারতের সাহায্যে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাংলা♓দেশের
এরপর পাকিস্তানের নাম না নিয়েও খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'আজ আমি প্রদর্শনীꦉতে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলার রিপোর্ট দেখলাম। সেই সময় মানুষরা নিজেদের বাড়িতেও সুরক্ষিত অনুভব করতেন না। তবে এখনও সময় বদলে গিয়েছে। এখন প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের ঘরেই সুরক্ষিত নয়।' এদিকে প্রধানমন্ত্রী আজ আরও বলেন, 'এই ১০০ বছরের যাত্রায় হিন্দুস্তান টাইমস ২৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন এবং ৭৫ বছরের স্বাধীনতা প্রত্যক্ষ করেছে। এই ১০০ বছরে, যে শক্তি ভারতের ভাগ্যকে রূপ দিয়েছে এবং পথ দেখিয়েছে, তা হল ভারতের নাগরিকদের প্রজ্ঞা।'
এদিকে আজ নিজের বক্তব্যে ইমারজেন্সির প্রসঙ্গও টেনে আনেন মোদী। তিনি বলেন, 'যখন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, অনেকেই ভেবেছিলেন যে এভাবেই হয়ত চলতে থাকবে এরপর। অনেক প্রতিষ্ঠান সেই সময় ইমারজেন্সি জারি করা শাসকের শরণে চলে গিয়েছিল। 🍌তবে মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে কয়েক বছরেই সেই ইমারজেন্সিকে উপরে ফেলে দিয়েছিল।'