অনেকেই ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য একাধিক প্যান কার্ড ব্যবহার করেন। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার করে আইটি দফতর এমন ব্যক্তিদের পাকড়াতে চায় যারা বড় টাকার লেনদেন করে, কিন্ত কর দেয় না বা নামমাত্র পরিমাণ দেয়। প্যান ও আধারের ডেডলাইন আগামী বছরের ৩১ মার্চ পূর্ণ হওয়ার পর তাই ১৮ কোটি প্যান কার্ড নিস্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। কীরকমের লেনদেনের ক্ষেত্রে নজরদারি রাখা হবে, সেই তালিকাতেও কিছু সংযোজন হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এখন এরকম বড় টাকার লেনদেনের হদিশের জন্য statement of financial transaction (SFT) এর হিসাব রাখে আইটি দফতর। ব্যাঙ্ক, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি ইত্যাদির থেকে তথ্য নেয় আইটি দফতর। এখনও পর্যন্ত মাত্র দেড় কোটি মানুষ ইনকাম ট্যাক্স জমা দেন। এই সংখ্যাটি বৃদ্ধি করতে বদ্ধপরিকর আইটি দফতর। হিসাব অনুযায়ী, দেশে ৫০.৯৫ কোটি প্যান কার্ড আছে। এর মধ্যে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করেন ৬.৪৮ কোটি মানুষ। কর দেন মাত্র দেড় কোটি মানুষ। আধারের সঙ্গে যুক্ত মাত্র ৩২.৭১ কোটি প্যান। আইটি দফতরের অনুমান অনেকেই ডুপ্লিকেট প্যান নিয়ে খরচা করছেন তাদের আসল আয় লুকিয়ে রাখার জন্য। এই সব প্যান যে আতসকাঁচের নিচে আসবে, সেটি বলাই বাহুল্য। এবার থেকে আরও বেশি লোকজনকে আইটি নেটে আনার জন্য এক লাখের ওপর যারা শিক্ষা খাতে টাকা দেয়, বছরে এক লাখের ওপর বিদ্যুতের বিল দেয়, যারা বিজনেস ক্লাসে যাতায়াত করেন, যারা এক লাখের ওপর গয়না কেনেন বছরে, যারা ২০ হাজার টাকার ওপর সম্পত্তি কর দেন, এলআইসি প্রিমিয়াম দেন ৫০ হাজারের বেশি ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম দেন কুড়ি হাজার টাকার বেশি, এদের সবার ওপর কর দফতরের নজর থাকবে।তবে এই সব তথ্য থার্ড পার্টির থেকে নেওয়া হবে, কর দাতাদের দিতে হবে না এইসব তথ্য। যাতে সৎ করদাতাদের সমস্যা না হয় ও শুধু অসাধু মানুষদের ধরা যায়, সেই জন্যেই এই ব্যবস্থা। কর বিশেষজ্ঞরাও একমত, যে পরিস্থিতি উন্নতি হবে যখন সব প্যান কার্ড আধারের সঙ্গে যুক্ত হবে। কারণ তখন আর কেউ অতিরিক্ত প্যান ইস্যু করতে পারবেন না।