𝔍 ভারত-মার্কিন মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতা কর্মসূচিতে এবার ৭ ভারতীয় প্রাইভেট সংস্থা জায়গা করে নিল। এর সঙ্গেই আকর্ষণীয় ‘স্ট্র্যাটেজিক মার্কেট’এর দুনিয়ায় ভারতের এই সেক্টরের এক নয়া অধ্যায়ের পথ চলা শুরু হতে চলেছে। এই কর্মসূচিতে রয়েছে স্পেস ইমেজিং সংস্থা KaleidEO, রকেট নির্মাণকারী সংস্থা EtherealX, এবং Aadyah Space সহ একঝাঁক ভারতীয় সংস্থা। যারা কাজ করবে মার্কিন ‘ডিফেন্স ইনোভেটিভ ইউনিট’ ও বাকি সরকারি দফতরগুলির সঙ্গে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে রয়টার্সের রিপোর্টে।
🍬 মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এই কর্মসূচিতে কাজ হবে, স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ, মহাকাশ সংক্রান্ত ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানান প্রযুক্তি ঘিরে। ভারতীয় সংস্থাগুলির সামনে এই কর্মসূচি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। যা প্রতিরক্ষার বাজারেও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক। এই পদক্ষেপের সঙ্গেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা ও স্পেস মার্কেটের দরজাও ভারতের সামনে খুনে যাবে। ভারতীয় সংস্থাগুলি কাজের সুযোগ পাবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পজগচের তাবড় নাম লকহিড মার্টিন, নর্থর্প গ্রুমম্যান, আরটিক্সের মতো সংস্থার সঙ্গে কাজ করার। এমনই তথ্য জানিয়েছে সূত্র। এটি মার্কিন বাণিজ্য জগতেও ভারতের বাণিজ্যের পক্ষে সুখবর নিয়ে আসতে চলেছে। যদিও এখনও এর কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। বেশ কিছু সূত্র মারফৎই এই তথ্যগুলি পাওয়া গিয়েছে।
🌞এদিকে, সরকারী সংস্থাগুলি মন্তব্যের জন্য ইমেল করা হলেও তার উত্তর আসেনি। এদিকে, লকহিড ও নর্থর্প এই বিষয়ে মন্তব্য থেকে দূরে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও সংস্থার নামগুলি নিশ্চিত করতে পারেনি। এদিকে, আরটিএক্স যাে রেথিওন হিসাবেই চেনা যায়, সেই সংস্থা ইমেলের জবাব এখনই দিতে চায়নি। এদিকে, ভারতীয় সংস্থাগুলিও মুখ খুলছে না। ভারত-মার্কিন, দুই দেশের মধ্যে একটি উদ্ভাবনী সেতু তৈরি করতে ২০২৩ সালে ‘ডিফেন্স অ্যাক্সিলারেশন ইকোসিস্টেম’ চালু করা হয়েছিল। এই উদ্যোগের নেপথ্যে ভারতের একটি কৌশলগত কূটনৈতিক দিকও রয়েছে। ভারত, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তারে চেষ্টা করে চলেছে, যাতে এই ইস্যুতে রাশিয়ার উপর থেকে নির্ভরতা কমানো যায়। এদিকে, এই আবহে ওই ৭ সংস্থার সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু প্রজেক্টের বিষয়ে ভারতীয় লগ্নিকারী ইন্ডাস ব্রিজ ভেঞ্চার্স ও আমেরিকার ফেড টেক কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে বলে খবর।আপাতত গোটা বিষয়টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা।