বেসরকারি কর্মচারীদের লিভ এনক্যাশমেন্টের উপর করছাড়ের সীমা একলপ্তে বাড়ানো হল। বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সসের (সিবিডিটি) তরফে ꧅জানানো হয়েছে, যে বেতনভোগীরা সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত নন, তাঁদের লিভ এনক্যাশমেন্টের উপর করছাড়ের সীমা এতদিন তিন লাখ ছিল। সেই সীমা একলপ্তে বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। যে নয়া নিয়ম চলতি অর্থবর্ষের (২০২৩-২০২৪) পয়লা দিন তথা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
তবে বৃহস্পতিবার যে সিবিডিটির তরফে আচমকা সেই ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা মোটেও নয়। গত ১ ফেব্র🐻ুয়ারি সংসদে সাধা🥂রণ বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের সেই করছাড়ের সুবিধা দেওয়া হবে। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৫ মে) সেই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি জারি করেছে সিবিডিটি।
আরও পড়ুন: Credit C💛♋ard Rule: বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নয়া নিয়ম, দিতে হবে ২০% TCS, জানুন বিশদে
বৃহ༺স্পতিবার ভারতের প্রত্যক্ষ কর সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যখন কোনও কর্মচারী অবসরগ্রহণ করবেন, সেই 𒊎সময় যে ‘আর্নড লিভ’ (Earned Leave বা EL) থাকবে, সেই মেয়াদের ক্ষেত্রে করছাড়ের সুযোগ মিলবে। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আয়কর আইনের আওতায় একটি নির্দিষ্ট ধারায় মোট যে পরিমাণ করছাড় দেওয়া হবে, সেটা ২৫ লাখ টাকার সীমা ছাড়ানো যাবে না।
সেই পদক্ষেপের ফলে দেশের প্রচুর বেসরকারি কর্মচারীরা উপকৃত হবেন বলে সং🎃শ্লিষ্ট মহলের মত। অ্যাকাউন্টিং ফার্ম এএমআরজি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের জয়েন্ট পার্টনার (🌃কর্পোরেট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল) ওম রাজপুরোহিত জানিয়েছেন, করসীমার যে হেরফের করা হয়েছে, তার ফলে বেসরকারি কর্মচারীরা রেহাই পাবেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীরা লিভ এনক্যাশমেন্ট বাবদ যে পরিমাণ অর্থ পান, সেটার ক্ষেত্রে পুরোপুরি করছাড় পাওয়া যায়। বেসরকারি কর্মচারীদের লিভ এনক্যাশ♓মেন্টের বিষয়টি আয়কর আইনের ১০ নম্বর ধারার আওতায় আছে। এতদিন লিভ এনক♎্যাশমেন্টের ক্ষেত্রে যে তিন লাখ টাকার সীমা ছিল, তা ২০০২ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল (বেসরকারি কর্মচারীদের অবসরগ্রহণ বা ইস্তফাপত্র প্রদান)। সেইসময় সরকারি ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ বেসিক পে ছিল ৩০,০০০ টাকা।