নগদ লেনদেনের সঠিক তথ্য চায় আয়কর বিভাগ, আয়কর তদন্তের আওতায় হোটেল, হাসপাতাল ও আইভিএফ ক্লিনিক। অভিযোগ উঠেছে যে নির্দিষ্ট সময়ে নি🎀য়ম মেনে বেশিরভাগ হোটেল কিংবা হাসপাতালগুলোই লেনদেনের তথ্য শেয়ার করছে না। তাই এবার সারা দেশে হোটেল এবং হাসপাতাল সহ অনেক বড় বড় বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের নগদ লেনদেন নিয়ে তদন্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আয়কর দফতর।
আরও পড়ুন: (Supreme court: MSP নিয়ে অভিযোগ কৃষকদের, কমিটি গড়ার নির্দ🙈েশ সুপ্রিম কোর্টের)
সম্প্রতি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) আয়কর বিভাগকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে হওয়া নগদ লেনদেনের সম্পূর্ণ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকꩵা তৈরির কাজও শুরু করেছে আয়কর বিভাগ। আয়কর দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেনের বিবরণ দিতে হবে। কিন্তু দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানক তা করছে না।
আরও পড়ুন: (Kolkata Municipal𒁃ity: ফুটপাত ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হকারদের, মাঠে নামল কলকাতা পৌরসভা)
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে যে নিয়ম ব্যাপকভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই বিষয়ে, বোর্ড সম্প্রতি ২০২৪♒ থেকে ২০২৫ সালের সেন্ট্রাল অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপি) প্রকাশ করেছে। আয়কর বিভাগ হোটেল, ব্যাঙ্কুয়েট হল, বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের বিক্রেতা, আইভিএফ ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডিজাইনার পোশাকের দোকান এবং এনআরআই কোটা মেডিকেল কলেজের সিটগুলিকে বড় আকারের নগদ লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়কর নিয়ম মেনে, তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে না।
তাই এবার আয়কর দফতরকে তদন্ত🍨ের আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি, বকেয়া দাবি আদায়ের জন্য দৃঢ় প্রয়াস চালানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে সিবিডিটি-এর তরফে। কারণ গত অর্থবছর থেকে বকেয়া চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে, কর বিভাগ কর ফাঁকি ঠেকাতে সারা দেশে ১,১০০ অনুসন্ধান বা অভিযান চালিয়েছিল, যার ফলে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার সম্🐈পদ বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছিল। এর মধ্যে ১,৭০০ কোটি টাকাই ছিল নগদ। সিবিডিটি আইটি কর্তৃপক্ষকে আরও জানিয়েছে যে ডেটা মাইনিং এবং ডেটা অ্যানালিটিক♑্সের কারণে সম্ভাব্য করদাতাদের শনাক্ত করা আরও সহজ হবে।
আয়কর বিভাগ জাল মেসেজের বিষয়ে করদাতাদের সতর্ক করেছে
যারা ইতিমধ্যে কর পরিশোধ করেছেন এবং আয়কর রিফান্ডের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাঁদের সতর্ক করেছে আয়কর বিভাগ। মূলত, এই ক্ষেত্রে জাল মেসেজের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন করদাতারা। করদাতাদের মোবাইল ফোনে ট্যাক্স রিফান্ড অনুমোদনের মেসেজ এসে আসল কেলেঙ্কারি বাঁধিয়ে বসছে। ফাঁদে পড়ে টাকার পর টাকা হারাচ্ছেন সাধারণ ম🐼ানুষ। আয়কর বিভাগ এই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধেই করদাতাদের সতর্ক করেছে।